সম্যক খান, মেদিনীপুর: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে রাজি হননি, পশ্চিম মেদিনীপুরে শালবনিতে আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল নেতা। বাড়িতে ঢুকে তাঁকে বিজেপি কর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য, ভুয়ো এক্সিট পোল দেখেই উল্লাসে মেতেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনাকে জনরোষেরই বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ শালবনির ভাদুতলায় তৃণমূল নেতা কাঞ্চন চক্রবর্তীর বাড়িতে হামলা হয়। শুধু তাঁর বাড়িই নয়, আশেপাশের তিন-চারটি বাড়ি ও দুটি দোকানঘরে ভাঙচুর চলে। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার অভিযোগ, রাতে অস্ত্র হাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে বিজেপি আশ্রিত ৩৫ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার দিতে বলে তারা। রাজি না হওয়ায় তৃণমূল নেতা কাঞ্চন চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে কাঞ্চনের মাথা ফেটে গিয়েছে। রাতে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এখনও হাসপাতালে ভরতি কাঞ্চন। দলের নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংরা। নেপালবাবু বলেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কাঞ্চনের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে শাসকদলের নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়। তাঁর পালটা দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কাঞ্চন চক্রবর্তী। জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি।
ছবি: নিতাই রক্ষিত
[ আরও পড়ুন: সাময়িক স্বস্তি অর্জুনের, আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর সুপ্রিম কোর্টের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.