সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর নগর নিগমের আবার এক কাউন্সিলর খবরের শিরোনামে। কাউন্সিলরের গলায় ক্ষুর চালিয়ে খুন করতে যায় এক দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীকে ধরে গণপিটুনি দেওয়ার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কাউন্সিলরের দাবি, ওই দুষ্কৃতী আগে সিপিএম করত এখন বিজেপি করে এবং বিজেপির নির্দেশে দুর্গাপুরকে অশান্ত করার জন্য এই হামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করে বলেছে, তাকেই পথ আটকে প্রতিদিন মারধর করা হয় এবং ঘটনার দিনও করা হয়েছে। দুর্গাপুরের এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, এই হামলা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নাকি বিজেপির আক্রমণ। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দুর্গাপুর নগরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার প্রতিদিনের মতো এদিনও গ্যামন ব্রিজে আড্ডা মারতে আসেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। অভিযোগ, সেই সময় কালী মিশ্র নামে এক দুষ্কৃতী হাতে ক্ষুর নিয়ে কাউন্সিলরের গলা টার্গেট করে চালিয়ে দেয়। ক্ষুর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কাউন্সিলরের হাতে লাগে। কাউন্সিলরের সঙ্গীরা কালী মিশ্রকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার বলেন, কালী মিশ্র আগে সিপিএম করত এখন বিজেপি করে এবং বিজেপির নির্দেশে খুন করতে এসেছিল। তবে তাঁর উপরে কেন আক্রমণ সে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান জানা নেই বলে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে রণক্ষেত্র গুড়াপ, পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ]
এদিকে অভিযুক্ত জানায়, তাকে প্রতিদিন রাস্তায় আটকে মারধর করা হয় এবং আজকেও মারধর করা হয়েছে। বারবার কেন নগর নিগমের কাউন্সিলররা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। রাখী তিওয়ারি, শশাঙ্খশেখর মণ্ডল, আলো সাঁতরার পর খবরের শিরোনামে সুভাষ মজুমদার। ঘাসফুল শিবিরের ভিতরেই প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের কাউন্সিলরদের জীবনযাত্রা কি দলের নজরের বাইরে রয়েছে আর তার ফলেই একের পর এক ঘটনায় কাউন্সিলররা জড়িয়ে পড়ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.