আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যহত বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায়৷ এবার এক তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর এলাকায়৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তৃণমূল নেতা। শাসকদলের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। [আরও পড়ুন: সীতাকে মা বলেন রামচন্দ্র! ভাইরাল মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের ভিডিও]
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজু সিং নামে ওই যুবক তৃণমূল কর্মী হিসেবেই শ্যামনগর এলাকায় পরিচিত। নির্বাচনেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল রাজুর। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জগদ্দল থানার ২২ নম্বর রেল গেট চত্বরে ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। রেল গেট এলাকাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয় রাজুকে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই যুবক। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের কর্মীকে একা পেয়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এ কাজ করেছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে তৃণমূলের তরফে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের নামে অপপ্রচার করতেই তৃণমূল তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। বিজেপি কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বরং তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই আক্রান্ত হয়েছেন রাজু। প্রসঙ্গত, বারাকপুরে লোকসভা কেন্দ্রের ভোট মিটে যাওয়ার পরেও এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘর্ষের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। আহতও হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.