বিক্রম রায়, কোচবিহার: ছাত্রখুনে তোলপাড় কোচবিহারে। ঘটনার প্রতিবাদে কোচবিহার কলেজের সামনে ব্লেড হাতে বিক্ষোভে বসেছিলেন পড়ুয়ারা। সুবিচার না পেলে গণ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা। ভাঙচুর চলেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুন্না খানের বাড়িতেও। শেষপর্যন্ত, অভিযুক্তদের আশ্রয় ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদিকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ আনসারিকে খুনের প্রতিবাদে শুক্রবার বনধ চলছে কোচবিহার জেলায়। বনধের ডাক দিয়েছে টিএমসিপি।
[ শরিকি জমি নিয়ে বিবাদের জের, মালদহে ‘বিবস্ত্র’ করে মার মহিলাকে]
ঘটনার সূত্রপাত্র ১৩ জুলাই। সেদিন ভরদুপুরে গুলি চলেছিল কোচবিহার শহরে। বাড়ির ফেরার পথে, রেলগুমটি এলাকায় মাজিদ আনসারিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কোচবিহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট আহ্বায়কও তিনি। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন ওই কলেজ পড়ুয়া। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। বুধবার রাতে মারা যান মাজিদ। তাঁর মৃত্যুর পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার শহর। কোচবিহার কলেজে সামনে ব্লেড হাতে অবস্থা বিক্ষোভে বসে পড়েন পড়ুয়ারা। সুবিচার না পেলে গণ আত্মহত্যার হুমকি দেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাজিদের মৃতদেহ কোচবিহারে পৌঁছানোর পর মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মুন্না খানের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহ নিয়ে বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ দেখায় পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে।
শেষপর্যন্ত শাসক দলের ছাত্রনেতাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মুন্না খানকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় কোতুয়ালি থানার পুলিশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে, মাজিদ আনসারি খুনের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে চলছে কোচবিহার জেলায়। বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
[ খেলার ছলে শিক্ষা, মানবপাচার রুখতে ‘স্পোর্টস থেরাপি’ শিলিগুড়িতে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.