ধীমান রায়, কাটোয়া: লাদাখ সীমান্তে চিনা বর্বরতায় নিজেদের জওয়ানরা শহিদ হওয়ার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে ভারত। প্রতিবাদ, বিক্ষোভের শেষ নেই। ইতিমধ্যেই সর্বদলীয় বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এরই মাঝে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালের বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুদ্ধের পক্ষে সওয়াল করেছেন বলেই দাবি তাঁর।
রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎসবীজ খামারে দলীয় কর্মীসভায় যোগ দেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “এতজন জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে। আপনার ক্ষমতা থাকে যুদ্ধ করুন। বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেই দিয়েছেন চিনের সঙ্গে যুদ্ধ চাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সে হিম্মত নেই।” এছাড়াও এদিন কর্মীসভার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে “অপদার্থ”, “মাথা মোটা” এবং অমিত শাহকে (Amit Shah) “মাথা মোটা” বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
যদিও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, মোদির ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে চিনকে টেলিকম সেক্টর, রেল বা বিমান সংক্রান্ত ব্যবসায় না ঢোকানোর পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত জিতবে আর চিন হারবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যুদ্ধের কথা বলেননি তিনি। সেক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের দাবির সত্যতা ঘিরেই ওয়াকিবহাল মহলে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
এদিকে, রবিবার আউশগ্রাম ২ ব্লকের যমুনাদিঘি মৎসবীজ খামার প্রাঙ্গণে দলীয় কর্মী সম্মেলনে এসে কর্মীদের নির্দেশ দেন বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরে প্রচার করতে। পাশাপাশি বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রচার করতে নির্দেশ দেন কর্মীসভায়। এদিনের কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল। কর্মীসভায় ডাকা হয়েছিল দলের বুথ এবং অঞ্চল সভাপতিদেরও।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.