নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এনআরসি ইস্যুতে এবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের জেলা সভাপতি রবিবার সাইঁথিয়ার জনসভা থেকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি যা বলবেন তা মেনে নেব না। আমরা চুপ করে বসে থাকব না।’ এরপর তোপ দেগে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্দেশে, ‘নরেন্দ্র মোদির, অমিত শাহের জন্মের সার্টিফিকেট আছে কি?’
এদিন বীরভূমে বড়সড় ভাঙন ধরল বিজেপি ও কংগ্রেস দলে। রবিবার সাঁইথিয়া মুরাডিহি কলেজের মাঠে দু’দলের নেতা কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, দেড় হাজার নেতা-কর্মী আজ তৃণমূলে যোগ দিল। তার প্রধান কারণ হিসাবে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুবকদের জন্য যে কাজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার তা করেনি। তাই তিনি সাঁইথিয়ার জনসভা থেকে হুমকি দেন, ‘নরেন্দ্র মোদি যা বলবেন তা মেনে নেব না। আমরা চুপ করে বসে থাকব না।’ তারপর তিনি কটাক্ষ করে বলেন, নরেন্দ্র মোদির, অমিত শাহের জন্মের সার্টিফিকেট আছে কিনা।
গত মাসেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া সাঁইথিয়ার তৃণমুল কাউন্সিলর শান্তনু রায় ফের নিজের পুরনো দলে ফিরে আসেন। রবিবার তাঁর হাত ধরে বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা দলে ফেরেন। তৃণমূলের দাবি, এদিন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা পার্থ ভৌমিক, কিষান মোর্চার নেতা অনাদি মণ্ডল, মহিলা মোর্চার ঝুমারানি বসাক, বিজেপির মূল সংগঠনের নেতা মধুসূদন বসাক তৃণমূলের পতাকা তুনে নেন। কংগ্রেস থেকে যোগ দেন হীরু বসাক। তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্র। এনআরসি, সিএএ চালু করছে। আমরা কী চুপ করে বসে থাকব।’
তিনি জানান, দেশের চারিদিকে আগুন জ্বালিয়েছে নরেন্দ্র মোদি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশি সংবাদ সংস্থার কথা উল্লেখ করে অনুব্রতর দাবি, ‘গত দুদিনে উত্তরপ্রদেশে ১৪ জন সংখ্যালঘুর মৃত্যু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই চুপ করে বসে থাকতে পারেন না। আমরাও পারি না।’ জেলাজুড়ে এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর কথা বলেন তিনি।
ছবি: সুশান্ত পাল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.