এই সেই রেশন দোকান। নিজস্ব চিত্র।
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: স্ত্রীকে ডিভোর্সি সাজিয়ে রেশনের ডিলারশিপ (Ration Dealership) হাতিয়ে নেওয়ার ছক তৃণমূল নেতার! এমনই কুকীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা।
ঘটনাস্থল নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের মেথিরডাঙা এলাকা। সেখানকার পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূলের ব্লক ‘এ’র যুবর সভাপতি রূপম মান্না। তাঁর বিরুদ্ধেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তিনি নাকি স্ত্রীয়ের সঙ্গে মিথ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। অথচ দুজনে চুটিয়ে সংসার করছেন। এদিকে রূপমের স্ত্রী ‘ডিভোর্সি’ সেজে রেশনের ডিলারশিপ পাওয়ার আবেদন করেন।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে এলাকার রেশন ডিলার ধনঞ্জয় মণি মারা গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী নামে রেশন দোকানটি চালাতেন। পরবর্তীতে তাঁর ছেলে তরুণ মনি রেশন দোকানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কিন্তু তাঁর লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। ফলে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রেশন দোকানটি এলাকার অপর একজনের তত্ত্বাবধানে চলে যায়। রেশন ডিলারশিপ কে পাবেন, তা ঠিক করতে বিজ্ঞাপন দেয় সরকার। ডিলারশিপ পেতে আবেদন করেন তৃণমূল নেতা রূপমের স্ত্রী। পঞ্চায়েত সদস্য স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে বলে নথিও জমা করেন। অথচ স্থানীয়দের দাবি, দুজনে একসঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তরুণ মণি।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হরিপুর পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সদানন্দ হালদার। বলছেন, “শুধু রেশন নয়, বিগত দিনে রাস্তার গাছ এবং শান্তিপুর কালনা ব্রিজের টাকাও আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য। যদি ওই পঞ্চায়েত সদস্য রেশন ডিলারশিপ পায় তাহলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, “এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। কে কীভাবে রেশন ডিলারশিপ পাচ্ছে সেটা তাদের জানা নেই। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।” অপরদিকে নিজের উপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূলের যুব সভাপতি রুপম মান্না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.