ছবি: প্রতীকী
গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে (Basirhat)। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে কী কারণে খুন? নেপথ্যে রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীক নাকি পারিবারিক দ্বন্দ্ব? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মোফাজ্জল হক। তৃণমূল কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন তিনি। মোফাজ্জল হক ওরফে আকু বৃহস্পতিবার রাতে বাইকে চেপে বাড়ির ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেসময়ই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর পরিকল্পনামাফিক হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন মোফাজ্জল। সেই সময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করা হয় ওই ব্যক্তিতে। গুরুতর জখম হন ওই তৃণমূল নেতার এক সঙ্গী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মাটিয়ায়।
খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আহতকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মোফাজ্জলের মাছের ভেরির ব্যবসা ছিল। এছাড়াও একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাই শত্রুও ছিল। পুরনো শত্রুতার জেরেই সম্ভবত এই হামলা। তবে রাজনৈতিক হিংসার কারণে খুনের তত্ত্বও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। রহস্যের শিকড়ে পৌঁছতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে মৃতের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা প্রসঙ্গে এখনও তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.