দেবব্রত বিশ্বাস, খাতড়া: ফুলকপি কেনা নিয়ে বচসার জেরে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার জামবনি গ্রাম। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মৃত তৃণমূল কর্মী পূর্ণেন্দু মহান্তি বাঁকুড়ার সারেঙ্গার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে পিড়রগাড়ি বাজারে সবজি কেনাকে কেন্দ্র করে অচিন্ত্য দাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। সাময়িকভাবে তা মিটেও যায়। অভিযোগ, রাতে বাড়ি ফেরার সময় ফের পূর্ণেন্দুবাবুর উপর চড়াও হয় অচিন্ত্য। লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীকে। মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন পূর্ণেন্দুবাবু। এরপর স্থানীয়রাই কোনওক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়েই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। গভীর রাতেই আটক করা হয় অভিযুক্ত অচিন্ত্য দাসকে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন পূর্ণেন্দুবাবু। রবিবার সকালে স্থানীয় পিড়রগাড়ি বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বাজার করার সময় ফুলকপি কেনাকে কেন্দ্র করে এলাকারই বাসিন্দা অচিন্ত্য দাসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পূর্ণেন্দুবাবু। সেই বচসার জেরেই রাতে ওই ব্যক্তির উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত।’ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নিহতের পরিবারের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সারেঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তবে কি আদৌ বাজারের বচসার জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি হল ওই তৃণমূল কর্মীর? নাকি ঘটনার পিছনে পুরনো শত্রুতা রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.