শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: একটি নাবালক বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা। তাকে ঘিরে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনেকে। সামনে লোহার চেন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক ব্যক্তি। বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে ওই নাবালককে। যন্ত্রণায় ছটফট করছে সে। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটছে। তবু নাবালকের রেহাই নেই। মার সহ্য করতে হচ্ছে তাকে। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির লাহুতাড়া এক পঞ্চায়েতের দুলেপুর গ্রামের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। এলাকায় প্রাক্তন উপপ্রধান চোর অপবাদে ওই নাবালকের উপর এমন নৃশংস অত্যাচার করেছে বলেই অভিযোগ।
দোকান থেকে স্রেফ মিষ্টি চুরির অপবাদে এক নাবালককে লোহার চেন দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর। এলোপাথাড়ি মারধরে রক্তারক্তি কাণ্ড। এই ঘটনায় অভিযোগের তির পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির লাহুতাড়া এক পঞ্চায়েতের দুলেপুর গ্রামের ঘটনায় নৃশংসতায় শিউরে উঠছেন সকলে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিডিওর প্রতিনিধি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গুরুতর জখম কিশোরকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
অভিযুক্ত উপপ্রধান ফইজুল হকের পাশবিক কীর্তিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তবে ঘটনা স্বীকার করে অভিযুক্ত উপপ্রধান ফইজুল হক। তিনি বলেন,”অনেকদিন ধরেই মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করছিল। আজকে একটা দোকান থেকে মিষ্টি চুরি করে। তাই একটু শিক্ষা দিতে মেরেছি। পুলিশের হাতে তুলে দিলে ভয় কমে যেত। তাই নিজে একটু মেরেছি।” তবে প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আসলে মিষ্টি চুরির ঘটনার সঙ্গে ওই উপপ্রধানের ভাইপোর নাম জড়িয়ে যায়। তাই প্রতিশোধ হিসাবে কিশোরের উপর নির্মম অত্যাচার করে। বিডিও বিজয় মোক্তার বলেন,”আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়। পুলিশকে জানানো হয়েছে।” পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.