ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রশ্ন একাধিক। গ্রামে ঘুরে বেড়ানো ‘ধম্মের’ ষাঁড় দুটো গেল কোথায়? জোড়া ষাঁড় কি বেচা হয়েছে? যদি বেচাই হয়, তবে সেই টাকা গেল কার পকেটে? গ্রামবাসীদের একাংশ ষাঁড় বেচে টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অনেকে। তারা ‘গরুচোরদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারি’ দাবি করেছেন। যদিও অভিযুক্ত নেতা জানিয়েছেন, ওই টাকা তিনি ছুঁয়েও দেখেননি। তা রয়েছে গ্রাম কমিটির কাছেই। সব মিলিয়ে জোড়া ষাঁড় অন্তর্ধান নিয়ে সরগরম পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhhaman) তেলোতা গ্রাম। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
দুই ষাঁড়ের মতোই এই গল্প দুই গ্রামেরও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলোতার পাশের গ্রাম বনপাড়ার বাসিন্দা সুকু সোরেন ওই ষাঁড় দু’টির প্রকৃত মালিক। দেড় বছর এবং চার মাস আগে দু’টি ষাঁড়কে বিশেষ কারণে ঘরছাড়া করেন তিনি। এরপর সেটি বনপাড়া এবং তেলোতা দুই গ্রামেই চড়ে খেতো। সম্প্রতি দু’টি ষাঁড়কে গ্রামবাসীদের একাংশের আপত্তি সত্বেও বেঁচে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হন স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিবের বাহন ষাঁড় বেচে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দেবাশিস। তিনি জানিয়েছেন, তেলোতা গ্রামের ফসল নষ্ট করছিল দু’টি ষাঁড়। কৃষকরাই চাইছিল গ্রামছাড়া হোক প্রাণী দু’টি। সেই মতোই ব্যবস্থা হয়। আদৌ ষাঁড় বিক্রি করা হয়নি। তবে যাঁরা ষাঁড় দু’টিকে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা থোক কিছু টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা রয়েছে গ্রাম কমিটির কাছেই। দেবাশিসের আরও অভিযোগ, সাধারণ গ্রামবাসী নয়, সিপিএমের লোকেরা মিথ্যে অভিযোগ এনে বিব্রত করতে চাইছে তাঁকে। যদিও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় পূর্ব বর্ধমানের ওই গ্রামে ষাঁড় চুরির তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.