ধীমান রায়, কাটোয়া: জামাই-সহ ১২ জনকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক জালিয়াতি। পুলিশের জালে তৃণমূলের উপপ্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মঙ্গলকোট এলাকায়। ঘটনার সঙ্গে আর কারও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ হেকমত আলি। মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান তিনি। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বদরুজ্জোহা নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলকোট থানায় ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, চাকরি দেওয়ার নাম করে মোট ১২ জনের কাছ থেকে ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন শেখ হেকমত আলি। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কেউ চাকরির নিয়োগ পত্র পাননি। একাধিকবার এ বিষয়ে হেকমত আলির সঙ্গে কথা বললেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই এফআইআর দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন বদরুজ্জোহা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত উপপ্রধানকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত দু’জন সম্পর্কে বেয়াই। ২০১৮ সালে বদরুজ্জোহারের ছেলে গোলাম জসিমের সঙ্গে বিয়ে হয় হেকমত আলির মেয়ের। বিয়ের পরই জামাইকে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার নামে তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকা নেয় অভিযুক্ত। এখানেই শেষ নয়, পরিচিত কেউ যদি থাকেন যারা অর্থের বিনিময়ে সরকারি চাকরি পেতে ইচ্ছুক, তাঁদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। এরপরই জসিম-সহ ১২ জন চাকরির জন্য খেকমত আলিকে টাকা দেন। কিন্তু চাকরি পাননি কেউই।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই আর্থিক জালিয়াতির পিছনে অন্য কারও হাত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ”হেকমতের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ শুনেছিলাম। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি ওই কার্যকলাপের জন্য আমাদের পার্টি অফিসেও ওকে ঢুকতে দেওয়া হত না। পঞ্চায়েত অফিসেও যেত না। আইন আইনের পথেই চলবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.