সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারাকপুরের কালিয়ানিবাস এলাকায় বৃদ্ধা মাকে খোলা বারান্দায় রেখে বেড়াতে চলে গিয়েছিল ছেলে-বউমা। সংবাদমাধ্যমে সহায় সম্বলহীনা বৃদ্ধার ঘটনা শুনে পাশে দাঁড়ালেন যুব তৃণমূল সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খবরটি জানার পরেই দলীয় যুবনেতা জয়দীপ দাস ও শুভ্রকান্তি বন্দোপাধ্যায়কে রায়মণিদেবীর কাছে পাঠিয়ে দেন। বার্তায় জানান, ‘মায়েদের গুরুত্ব সব থেকে বেশি। মায়ের বিপদে থাকলেই যুবদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
সাংসদ নেতার এই আন্তরিক ব্যবহারে যারপরনাই আপ্লুত বৃদ্ধা। তিনি জানান, অভিষেকবাবু পাশে আছেন। সোমবার রাতে দলের দুই নেতাকে দিয়ে ফল ও শাড়ি পাঠিয়েছেন। সর্বদা পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। এদিকে যুবনেতাদের মাধ্যমে একটি বার্তাও পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। ছেলেরা ফিরেও তাকায় না। দুই যুবনেতার খোঁজখবরের ঘটনায় আনন্দে কেঁদেই ফেলেন ওই বৃদ্ধা।
উল্লেখ্য, শিক্ষক দম্পতি অসমে ছুটি কাটাতে গিয়েছে। ঘরে তালা দিয়ে বৃদ্ধা মায়ের জন্য রেখে গিয়েছে খোলা বারান্দা। সঙ্গে জল ও যৎসামান্য মুড়ি। চারদিনের দিন গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রতিবেশীদের নজরে আসে। বৃদ্ধার দুর্দশা দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর উদ্যোগী হন। টিটাগড় থানায় ছেলে রতন ও বউমা স্বাতী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রতনবাবুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল ঘটকের বাড়িতে আপাতত আশ্রয় মিলেছে বৃদ্ধার। থাকা খাওয়া আপাতত সেখানেই।
গোটা ঘটনায় বিরক্ত বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার তিন ছেলে। নিজের যাবতীয় সম্পত্তি রতনকে দিলেও অন্যদের ছিটেফোটাও ভাগ দেননি। রাগে দুঃখে মাকে দেখেন না বড় দুই ছেলে। তাঁরা ইছাপুরে থাকেন। আদরের ছোটছেলে সব পেয়েও মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। অভিযোর, বউমা খেতে দিত না।দিলেও আধপেটা খাবার পাতে পড়ত। কখনও সখনও অভুক্তই থেকে গিয়েছেন বৃদ্ধা। উপরি পাওনা ছিল গঞ্জনা। বলা বাহুল্য, মায়ের সঙ্গে হওয়া অন্যায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখত ছেলে রতন। বৃদ্ধার দুর্দশার ঘটনা শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। শিক্ষক দম্পতি ফিরলেই তাদের বক্তব্য শোনা হবে। বৃদ্ধা মাকে সম্মানের সঙ্গে রাখতে চাইলে ভাল, নাহলে রায়মণিদেবীর জন্য স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.