ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিগেডের (Brigade Parade Ground) জনগর্জন সভায় প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার জনগর্জন যাত্রা কর্মসূচিও শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতেই এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এই কর্মসূচি শুরুর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে রাজ্যের ১০৬টি বিধানসভা কেন্দ্র ও ৩০০টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি করল তৃণমূল।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচার কর্মসূচি আরও শক্তিশালী করতে ‘জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’ প্রচার কর্মসূচির আওতায় বাংলার অধিকার যাত্রাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যোগ করা হয়। গত ১৩ মার্চ এই যাত্রার সূচনার দিনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা শীর্ষস্তরের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
তার পর থেকেই ‘মাঠে’ নেমে পড়েন তৃণমূলের প্রার্থীরা। আরামবাগের (Arambagh Lok Sabha) প্রার্থী মিতালি বাগ (Mitali Bag) পৌঁছে গিয়েছেন গ্রামের কৃষকদের কাছে। গিয়েছেন স্থানীয় সবজি মান্ডিতেও। অন্যদিকে, জনসভায় ভাওয়াইয়া গান গেয়ে জনসংযোগ সেড়েছেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Lok Sabha) প্রার্থী অধ্যাপক নির্মলচন্দ্র রায়। মাঠে-ময়দানে হোক, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যজুড়ে তৃণমূল প্রার্থীরা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করছেন।
প্রার্থীরা বঞ্চিত ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক ও আবাস যোজনার আবেদনকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন। বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা সবার সামনে তুলে ধরেন। সম্প্রতি রাজ্যের বঞ্চিত ৫৯ লক্ষ শ্রমিকের বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। বঞ্চিত এক শ্রমিক রতুয়ার বাসিন্দা আনিনুল হক বলেন, “১০০ দিনের কাজ করেও আমরা সেই টাকা পাইনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবং তিনি তা করে দেখিয়েছেন। এর জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.