দীপঙ্কর মণ্ডল ও ধীমান রায়: ত্রিপুরা (Tripura) জয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। রবিবার মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে তৃণমূলের একটি যোগদান শিবিরে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, “সামনে ত্রিপুরার ভোট। আমরা ত্রিপুরায় জয়লাভ করবই। পুলিশ দিয়ে যতই মারো, আমরা সহ্য করে নেব। আমি নিজে ত্রিপুরায় খেলতে যেতে চাই। ওখানে খেলা হবে।” পাশাপাশি, ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে দেওয়া টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ”দল যেদিনই নির্দেশ দেবে, সেদিনই ত্রিপুরায় খেলতে যেতে তৈরি আমি। ত্রিপুরায় ভয়ংকর খেলা হবে। ”
বিজেপির (BJP) উদ্দেশে চ্যালেঞ্জের সুরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ”অভিষেক ত্রিপুরায় যাচ্ছে। পারলে রুখে দাও।” এরপরই তিনি বলেন, ”আমিও ত্রিপুরা যেতে চাই। দল যেদিনই বলবে, সেদিনই যেতে তৈরি। এবার ওখানে খেলা হবে। রেফারি নয়, আমি খেলতে ভালবাসি। ত্রিপুরায় গিয়ে খেলব।” রবিবারের শিবিরে মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকার ১১ টি অঞ্চল মিলে প্রায় ৩৫০০ জন বিজেপি কর্মী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এদিনের যোগদান শিবিরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, “গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী কেন পদত্যাগ করলেন? তার জবাব দেবেন না?” পরক্ষণেই অনুব্রতর মন্তব্য, “তোমার(প্রধানমন্ত্রীর) দুর্নীতি মানতে পারছে না। তুমি, অমিত শাহ যা বলছো, তিনি তাতে রাজি নন। তিনি অন্যায় করতে পারছেন না। তোমার অন্যায় কথা শুনতে তিনি রাজি নন। সেজন্য তিনি পদত্যাগ করলেন।”
মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম পীঠস্থান। এখানে দেবী যোগাদ্যা রূপে পূজিতা হন। এদিন তৃণমূলে নতুন সদস্যদের যোগদান শিবিরের পাশাপাশি যোগাদ্যা মন্দিরে একটি নবনির্মিত ভোগঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুব্রত। ছিলেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী-সহ অন্যান্যরা। জানা যায় এই ভোগঘরের জন্য ১১ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.