সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পর্বে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্বে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলা। আক্রান্ত হয়েছিলেন বিরোধী দলের বহু প্রার্থী ও কর্মী। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছিলেন অনেকেই। এবার তাঁদের ঘরে ফেরালেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা।
বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রামসভায় বিরোধীরা ধরাশায়ী হয়েছে। ভোট বাক্সে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি বিজেপি-সিপিএম কেউই। বিপুল ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই বিরোধী দলের পরাজিত প্রার্থী ও কর্মীরা অনেকেই আতঙ্কে গ্রামছাড়া। অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে। তৃণমূল কর্মীরাই নাকি ভাঙচুর করেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি। একই অভিযোগে ঘরছাড়া ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বরূপকাটি পূর্বপাড়ার ১৫০ নম্বর বুথের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডল, তাঁর স্বামী-ছেলে নিয়ে গ্রামছাড়া হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, শাসকদলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা বাড়ি ভাঙচুর করেছে, ভয় দেখাচ্ছে ও জমিতে ধানের বীজ ফেলতে দিচ্ছে না। সেই অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা ওই বাড়িতে যায়। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে নারাজ ছিলেন শাসকদলের নেতারা।
তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার মহিলা সংগঠনের সভাপতি অর্চনা মৃধা ও তৃণমূলের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক সভাপতি তথা হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী শহিদুল্লা গাজি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা এদিন আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের বাড়িতে যান। বেশ কয়েকটা বাড়ি পরিদর্শন করেন তাঁরা। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। বলেন, বাড়িতে ফিরে যেতে। পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী শহিদুল্লা গাজি বলেন, “ছয়-সাতটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা ৪০-৫০ টা বাড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে দেখাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা এখানে শাসক-বিরোধী সব দল একসঙ্গে বসবাস করি। শান্তিপূর্ণভাবে সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষ রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে সবাই একসঙ্গে থাকি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.