নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বরং বিজেপি ও তৃণমূল উভয় দলের আসন সংখ্যা তিন। ৬ আসনের পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত শুক্রবার লটারির মাধ্যমে বীরভূমের মহম্মদবাজারের রামপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল তৃণমূলই। মহম্মদবাজারের বিডিও আশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডও গঠন করা হবে।
তৃণমূল ও বিজেপির আসনসংখ্যা সমান। লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত মহম্মদবাজারের রামপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। বিজেপি থেকে দু’জন সদস্যকে ভাঙিয়ে এনে বোর্ড গঠনের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে শেষপর্যন্ত আর দলবদল করেননি বিজেপির ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য। ফলে অচলাবস্থা চলছিল রামপুর পঞ্চায়েতে। এদিকে বোর্ড গঠন নিয়ে টালবাহানার কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছিল প্রশাসনিক কাজেও। শেষপর্যন্ত সমস্যা মিটল লটারিতে। জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটে রামপুর পঞ্চায়েতের মুর্গাবনি ছাড়া পাঁচটি অঞ্চলেই তৃণমূলের থেকে এগিয়ে যায় বিজেপি। এরপরই সুর নরম করে দু’পক্ষই। লটারির মাধ্যমে রামপুর পঞ্চায়েতে ভাগ্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় মহম্মদবাজার ব্লক প্রশাসন। অপ্রীতিকর ঘটনার এড়াতে শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। টহল দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এমনকী, সংঘর্ষ এড়াতে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের দুটি আলাদা জায়গায় জমায়েতের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
রামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সরস্বতী হাঁসদা ও বিজেপির স্বপন মুখোপাধ্যায়। দু’জনের নামে ছয়টি করে চিরকুট রাখা হয় একটি বাক্সে। স্থানীয় এক কিশোর বাক্স থেকে সরস্বতী হাঁসদা নাম লেখা চিরকুটটি তোলে। লটারিতে জিতে যায় ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের টাকার লোভ দেখিয়ে ও ভয় দেখিয়ে দলে টানার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা আস্থা রেখেছিলেন গণতন্ত্রে। তাই রামপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলেরই জয় হল।’ এদিকে রামপুর পঞ্চায়েতের দলের নির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: শান্তনু দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.