দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দশপ্রহরণধারিণী দুর্গা নয়, প্রতিমার হাতে তৃণমূলের (TMC) পতাকা! এহেন বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়ে সমালোচনার শিরোনামে এখন হুগলির (Hooghly) গুড়াপের এক পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযুক্তের অবশ্য দাবি, উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে তিনি প্রতিমার হাতে ওই পতাকা ধরিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব এই বিষয়টি নিয়ে গুড়াপ থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। চতুর্থীর দিন মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর যাওয়ার পালা। হুগলির গুড়াপেও মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেসময়ই ঘটল বিপত্তি। কুমোরপাড়া থেকে প্রতিমা বের করে ভ্যানে তোলার পরেই দুর্গার দশহাতের এক হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দিলেন পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্ণণ মণ্ডল। কেন দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) এমন রাজনীতির রং লাগালেন, এনিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। লক্ষ্মণবাবু অবশ্য সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর মতে, এই পতাকা উন্নয়নের প্রতীক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুদানে তাঁরা ভালভাবে পুজো করতে পেরেছেন। সেই কারণে প্রতিমার হাতেও তিনি সেই পতাকা তুলে দিয়েছেন। এতে কোনও অন্যায় নেই।
দেবী দুর্গাকে নিয়ে এহেন রাজনীতিকরণে ব্যাপক ক্ষুব্ধ বিজেপি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় গোটা দলকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘‘রাজ্যের শাসকদল পুজোয় অনুদান দিয়েছে বলেই প্রতিমার হাতে এভাবে পতাকা দেওয়া যায় না। তাঁর হাতে তো অস্ত্র থাকার কথা। উৎসব সকলের। রাজ্য সরকারের অনুদানে সকলের সমান আনন্দ। তাতে কেন বিশেষ রাজনৈতিক রং দেওয়া হল? কোথায় যাচ্ছে বাংলা? মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ডুবছেন, বাংলাকেও ডোবাচ্ছেন।” তবে দুর্গাপুজো ঘিরে এহেন রাজনীতিকরণ বাংলার বুকে বেনজির বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.