সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: বাম জমানায় সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না আমতায় কাদুয়া গ্রামের রাজনৈতিক সন্ত্রাস। লোকসভা ভোটের পর খুন হয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য গোপাল পাত্র। কবজি থেকে হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল বিরোধী দলের ১৪ জন সমর্থকের। আসন্ন পঞ্চায়েত কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে গোপাল পাত্রের ছেলে কমল পাত্রকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসকদলের প্রার্থী চম্পা পাত্র। কবজি থেকে একটি হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল চম্পার।
[স্কুলে নীল-সাদায় অনীহা, গেরুয়া বা লাল পছন্দের রং বহু প্রতিষ্ঠানের]
তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়নি। বামশাসিত এই রাজ্যে তখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের যুবনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯১ সালে লোকসভা ভোটের পর রক্ত ঝরিয়েছিল হাওড়ায় আমতার কাদুয়ায়। অভিযোগ, হাত চিহ্নে ভোট দেওয়ার অপরাধে কবজি থেকে হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল ১৪ জন গ্রামবাসীর। খুন হয়েছিলেন কংগ্রেসে স্থানীয় পঞ্চায়েত গোপাল পাত্র। গত দুই দশকে রাজনৈতিক মানচিত্রে বদল ঘটেছে। ঘটনার সময়ে কাদুয়া ছিল আমতা বিধানসভার অন্তর্গত। ডিলিমিটেশনের পর, এখন উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আমতা এই ছোট জনপদটি। কিন্তু, সেদিনের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয়াবহ স্মৃতি আজও তাড়া করে বেড়ায় কাদুয়ায় বাসিন্দাদের। যাঁরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাই। নিহত কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল পাত্রের ছেলে কমল পাত্রকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলের প্রার্থী তিনি। পঞ্চায়েতে সমিতিতে আবার তৃণমূলের হয়ে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চম্পা পাত্র। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অপরাধে কবজি থেকে তাঁর একটি হাত কেটে নেওয়া হয়েছিল।
[টাকা না পেয়ে প্রসূতিকে মারধর মাতৃযান চালকের, কোল থেকে ছিটকে পড়ল সদ্যোজাত]
হাওড়ায় উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা জানিয়েছেন, শুধু কাদুয়াই নয়, তাঁর বিধানসভা এলাকার বসন্তপুর, দেবীপুর ও বিধিচন্দ্রপুর থেকেও শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী করেছে শাসকদল। তাঁর দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সন্ত্রাস জবাব দিতে চান শহিদ পরিবারের সদস্যরা। তাই পঞ্চায়েত ভোটে তাঁদের প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
[তৃণমূল কার্যালয়ে গুলি করে খুন ইমাম পুত্রকে, চাঞ্চল্য মালদহে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.