সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ভোটারদের কাছে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই অভিনব নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বজবজ ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। নানা সম্প্রদায়ের মানুষের বেশে একসঙ্গেই এপাড়া-ওপাড়া ঘুরে প্রথম রাউন্ডের প্রচার সারছেন তাঁরা। দলীয় প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে যুব তৃণমূল কর্মীদের এই প্রচার ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলেছে ভোটারদের মনে।
কিছুদিন আগেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে গুজব রটেছিল ‘ছেলেধরার’। এই ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে কয়েকজন মানুষের গণপিটুনিতে মৃত্যু ও আহত হওয়ার মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও ঘটে গিয়েছিল। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার বিভিন্নএলাকাতেও একের পর এক ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভয়ঙ্কর গুজবের ঢেউ। বাদ যায়নি বজবজ ২ নম্বর ব্লকও। অভিযোগ উঠেছিল, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টায় পরিকল্পনামাফিকই রটানো হয়েছিল এই ধরনের গুজব। যদিও শেষপর্যন্ত এলাকায় এলাকায় মানুষের সচেতনতায় ব্যর্থ হয়েছে রটনাকারীদের সেই মারাত্মকপরিকল্পনা। বজবজ ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় সাম্প্রদায়িকসম্প্রীতি সুরক্ষায় তাই এক অভিনব পন্থা নিয়েছেন। কর্মী ও সমর্থকদের নানা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের বেশে নির্বাচনী প্রচারের কাজে নামিয়েছেন তাঁরা। ব্লকের এ গলি থেকে ও গলি ঘুরে বাড়ি বাড়ি ভোটারদের কাছে পৌঁছাচ্ছেন ওই কর্মী ও সমর্থকরা। তাঁদের প্রচারের মূল কথা, “অভিষেক ব্যানার্জিকে জেতান, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেবেন না, এলাকায় উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখুন।”
আরও পড়ুন: ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে টুইটারে শুভেচ্ছা প্রতিদ্বন্দ্বী দেবের
যুব তৃণমূল কংগ্রেসের বজবজ ২ নম্বর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বুচান) কথায়, “মানুষ চান এলাকার উন্নয়ন আর নিজেদের
আর্থিক সচ্ছলতা। এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে তাঁরা সকলে একজোট হয়ে লড়াই করেন বলেই এলাকায় এলাকায় আজ এত উন্নয়ন। ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় দ্বিতীয়বারের তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সকলকে সঙ্গে নিয়েই উন্নয়নের কাজটা করেন। আর এটাই বিরোধীদের চক্ষুশূলের একমাত্র কারণ।”স্থানীয় বাসিন্দারা কিন্তু এই অভিনব প্রচারে দারুণ খুশি। তাঁদের কথায়, মানুষে মানুষে বিভেদ হলে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে না। সেসব নিয়েচলতেই থাকে হইচই, পুলিশ, আইন-আদালত ইত্যাদি। ফলে এলাকায় সাধারণ মানুষেরমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। কাজ-কারবার সব লাটে ওঠে। অশান্ত এলাকায় সরকারেরউন্নয়নের কাজকর্মও থমকে দাঁড়ায়। তাই যত বেশি এমন প্রচার চলবে ততই এলাকার মঙ্গল হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.