দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: পৌষ সংক্রান্তিতে ‘দিদিকে বলো’ লেখা ঘুড়ি ওড়ানোর মধ্য দিয়েই জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল শ্রীরামপুরের মানুষ। হুগলির শ্রীরামপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তোষ সিংয়ের এই অভিনব উদ্যোগ রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এদিন ওই কাউন্সিলর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ‘দিদিকে বলো’ লেখা ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। তিনি এদিন ছেলেমেয়েদের হাতে ঘুড়ি তুলে দেন। ব্যতিক্রমী উপায়ে প্রতিবাদ করে খুশি স্থানীয় যুবক-যুবতীরা।
পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুরে ওড়ানোর রেওয়াজ বহু পুরনো। ঠিক যেমন কোথাও বিশ্বকর্মা পুজো আবার কোনও জায়গায় সরস্বতী পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানো হয়। কিন্তু হুগলির শ্রীরামপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতি বছরই শ্রীরামপুরের আকাশজুড়ে রঙিন ঘুড়ির মেলা বসে। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার জেরে ঘুড়ির সুতো থেকে শুরু করে মাঞ্জার খরচ বেড়েছে বহু গুণ। আর তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ঘুড়ির দাম। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে অনেকেই ঘুড়ির প্রতি আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু পৌষের শেষে যখন সকলেই পিঠে পুলি নিয়ে ব্যস্ত তখন সংক্রান্তির সকালে হঠাৎই বিনামূল্যে ‘দিদিকে বলো‘ ঘুড়ি দেওয়া হচ্ছে শুনে ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দ্বিগুণ হয়ে যায়। পিঠেপুলির সঙ্গে ঘুড়ি যেন উপড়ি পাওনা। সৌজন্যে স্থানীয় কাউন্সিলর সন্তোষ সিং। তাঁর দৌলতেই এদিন এলাকার যুবক-যুবতীরা ঘুড়ি হাতে পান। যা পেয়ে বেজায় খুশি তাঁরা।
কাউন্সিলর সন্তোষ সিং বলেন, “NRC এবং CAA‘র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের হাতে ঘুড়ি তুলে দেওয়া হয়েছে। কোনও সহিংস আন্দোলন নয়। ঘুড়িই আমাদের প্রতিবাদের হাতিয়ার। ঘুড়ি উড়িয়েই প্রতিবাদ করা হচ্ছে। ঘুড়ির লড়াই চলতে চলতে যাঁর বাড়ির ছাদের গিয়ে ঘুড়ি পড়বে তিনিও NRC এবং CAA’র প্রতিবাদে সুর চড়াক সেটাই চাই। আমার আশা এই ‘দিদিকে বলো’ ঘুড়ির মাধ্যমে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আকাশে-বাতাসে পৌঁছে যাবে প্রতিবাদ। তাই আজকের দিনটা সত্যি শ্রীরামপুরবাসীর কাছে খুবই স্পেশ্যাল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.