অর্ণব দাস, বারাসত: শাসক দলের নাম ভাঙিয়ে অবৈধভাবে টাকা তুলে টোটো-অটো রুট দেওয়া হচ্ছিল। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর দেবব্রত পাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে বারাসত হেলাবটতলা মোড় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ দেখালে উত্তেজনা বাড়ে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং বারাসত-বারাকপুর রোড। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আক্রান্ত কাউন্সিলরকে বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত শহরের যানজটের অন্যতম কারণ অবৈধ টোটো। দশ হাজারের বেশি টোটো চলাচল করে জেলা সদরে। রুট নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিকবার প্রশাসনিক স্তরে আলোচনায় বসেছিল পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার তরফে আর কোনও টোটো রুট না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এরই মধ্যে বারাসত হেলাবটতলা মোড় থেকে বারাসত পুরসভা ১০ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে স্টেশন পর্যন্ত শাসক দলের নাম ভাঙিয়ে দলেরই একাংশ একটি অবৈধ টোটো রুট করে দেয়। ঘটনাটি জানার পর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইএনটিটিউসির নেতৃত্ব এবং বারাসত পুরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবব্রত পাল হেলাবটতলায় যান।
সেখানেই তাঁদের সঙ্গে বচসা বাঁধলে দেবব্রত পালকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় এবং মুখে আঘাত লাগে। এই নিয়েই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে বারাসত পুরসভার তৃণমূল নেতৃত্ব এবং বারাসাত সাংগঠনিক জেলা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি পথসভাও করেন। সেখানেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
আহত কাউন্সিলর দেবব্রত পাল বলেন, “অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে তৃণমূল নেতা বলে দাবি করে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে আমার ওয়ার্ড থেকেই বেআইনি টোটো রোড বার করেছিল। এতে সাধারণ মানুষের আমাদের দলের সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছিল। এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটল।” বারাসত সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি-র সহ-সভাপতি অতনু ঘোষ, “অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ ভাবে অটো-টোটো রুট দেওয়ার নাম করে টাকা তুলছিল। উনি আমাদের দলের কেউ নয়, একজন সমাজবিরোধী। থানায় অভিযোগ জানানো হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.