সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই গুলিবদ্ধ হলেন বজবজ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার। সশস্ত্র অবস্থায় দুই দুষ্কৃতী তৃণমূলের কার্যালয়ে এসে কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বুকে ও পেটে গুলি লাগে কাউন্সিলরের। এরপরই এলোপাথাড়ি বোমাবাজি করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
[ পার্টি ফান্ডে টাকা না দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল]
সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বজবজের চিত্রগঞ্জের কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসেছিলেন বজবজ পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার। কার্যালয়ের দরজা খোলাই ছিল। হঠাৎই দুই দুষ্কৃতী কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি চালায়। মিঠুনের বুকে ও পেটে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় কাউন্সিলর নিজের চেয়ারেই লুটিয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি করার পর বোমাবাজি করতে করতে এলাকা থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাউন্সিলরকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে আসেন দলীয় কর্মীরা। রাতেই তাঁর অপারেশন হয়। কাউন্সিলরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কামাল ও ক্যাশ নামে দুই দুষ্কৃতী গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী, গুলি চালানোর সময় কামাল ও ক্যাশকে চিনতে পেরেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েওছেন কাউন্সিলর। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, কেউ যাতে ধরে ফেলতে না পারে, তারজন্য ক্রমাগত বোমাবাজি করে এলাকা থেকে পালায় দুই দুষ্কৃতী।এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত। তাঁর বক্তব্য, “রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা। এবং কামাল ও ক্যাশ নামে বিজেপি আশ্রিত দুই দুষ্কৃতী এই ঘটনায় জড়িত।” যদিও তা অস্বীকার করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “তৃণমূলের বিনাশ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এই ঘটনা। এখন বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আড়ালের চেষ্টা করছে।”
গত বছর পুজোর সময় বজবজে স্থানীয় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। যে ঘটনায় কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। প্রশ্ন ওঠেছে, ওই ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই কি কাউন্সিলরের উপর গুলি চালানো হয়েছে? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[ মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত সেনা জওয়ানের ছেলে! হতবাক বাবা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.