Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jhalda

ঝালদায় ইস্তফা তৃণমূল কাউন্সিলরের, দলবদলের অঙ্কে শাসকদলের হাতছাড়া আরও ১ পুরসভা?

দল ছাড়লেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্য়ায়।

TMC Councillor resigns from Jhalda municipality, the board looses majority | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 27, 2022 7:29 pm
  • Updated:October 27, 2022 7:42 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: তৃণমূলের (TMC) হাতছাড়া হতে চলেছে আরও একটি পুরসভা। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে চলেছে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন। যার জেরে ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভার মধ্যে তৃণমূলের আসন কমে দাঁড়াল ৫। একইভাবে কংগ্রেসের (Congress) দখলে রয়েছে পাঁচটি আসন। এবং নির্দলের সংখ্যা দুটি। তার মধ্যে একজন অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন। এই অবস্থায় ঝালদার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তৃণমূল ছেড়ে আসা শীলা চট্টোপাধ্যায়কে কংগ্রেস পুর প্রধানের চেয়ারে বসিয়ে দুই নির্দলকে নিয়ে বোর্ড গঠন করবে।

কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূলের শীলা চট্টোপাধ্যায়।

ঝালদায় পুরভোটের ফলাফল অনুযায়ী, ৫ টি করে আসন জিতেছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। দুটিতে জয় পান নির্দল প্রার্থীরা। এরপর নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিন নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এখানকার বোর্ড গঠন নিয়ে বহু জটিলতা ছিল। এর মধ্যেই আবার খুন হন দু’ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। বোর্ড গঠনের দিন আরেক নির্দল কাউন্সিলর, তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সোমনাথ কর্মকারও শাসকদলকে সমর্থন করেন। ফলে মোট সাত কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হলে ওই ওয়ার্ড থেকে জয়লাভ করেন তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দু।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় নয়া সমীকরণ? ৬ বছর পর ফোঁটা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুকুল, গেলেন শোভন-বৈশাখীও]

চলতি মাসের ১৩ তারিখ পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন কংগ্রেসের পাঁচ ও তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ (রঞ্জন) কর্মকার। পুর বিধি অনুযায়ী অনাস্থা আনার দিন থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধানকে ওই তলবি সভা ডাকতে হয়। তিনি সেই সভা না ডাকলে পুর প্রধানের সময়সীমা শেষ হলে আগামী সাতদিন পর্যন্ত উপপুরপ্রধান সভা ডাকতে পারেন। তিনিও সভা ডাকার ক্ষেত্রে বিরত থাকলে তার সময়সীমা শেষে পুরসভার যে কোনও তিন কাউন্সিলর সভা ডাকতে পারেন। তারাও এই তলবি সভা না ডাকলে ওই কাউন্সিলরদের সময়সীমা শেষের ১৫ দিনের মধ্যে জেলাশাসককে তলবি সভা ডাকতে হবে। সেই সভায় আস্থা অনাস্থা প্রমাণ হবে। গত মঙ্গলবার এই অনাস্থা সংক্রান্ত মোকাবিলায় পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে ওই পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি বৈঠক করে জেলা তৃণমূল। সেই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেদিন থেকেই জল্পনা চলছিল ঝালদা পুর শহরে। এদিন বিকেলে তিনি তৃণমূল ত্যাগ করায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, ঝালদা পুরসভা কি শাসকদলের হাতছাড়া হতে চলেছে? নতুন করে এই জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

[আরও পড়ুন: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরও দখলে আনব’, উপত্যকার মাটি থেকে গর্জন রাজনাথের]

ঝালদা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমার দলত্যাগের কথা আমি জেলা সভাপতিকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়ে দিয়েছি।” পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “ওই কাউন্সিলর আমাকে একটা ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। কেন এমন হল দলীয় স্তরে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, “ঝালদার পুর বোর্ডে তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। শাসকদলের একটুও নৈতিকতা থাকলে এখনই উচিত পুরপ্রধানের ইস্তফা দেওয়া।” তিনি দাবি করেছেন, চমক আরও বাকি আছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement