নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পুরভোটের আগেই ফের জয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল (TMC)। বীরভূমের সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, সিউড়ির পর রামপুরহাট পুরসভাতেও জয় শাসকদলের। শনিবার এই চার পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৫ তৃণমূল প্রার্থীকে শংসাপত্র দিলেন রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস।
সিউড়িতে ২১টির মধ্যে ১৬টি, সাঁইথিয়ায় ১৬টির মধ্যে ১৪টি, দুবরাজপুরে ১৬টির মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা। একইভাবে রামপুরহাটের ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রামপুরহাটে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তার ফলে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটাভুটি ছাড়াই জয়ী হন শহর সভাপতি সৌমেন ভকত। তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষী ভকত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। এই ওয়ার্ডে বরাবর তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি জয়ী হয়। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূলের জয় নিয়ে আশাবাদী সৌমেনবাবু।
একইভাবে সিউড়িতে প্রথমবার বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় জয়ী হয়েছেন শহর সভাপতি আবদুল সফি। তিনি জানান, “৫টি ওয়ার্ডে এখনও লড়াই বাকি। আমাদের আশা অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে শহরে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে ২১ শে ২১ হবে।” উল্লেখ্য, এদিনও সিউড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আরও একটি ওয়ার্ডেও সহজে জয় আসে। দুবরাজপুরের মোট ৫ টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা।
প্রাক্তন পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে আমরা সব ওয়ার্ডে লড়াই করে জয়ী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিরোধীরা যেভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করল তাতে আমাদের লড়াইয়ের মজা নষ্ট হয়ে গেল।” বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে লড়বেন কিনা, তা দু’দিনের মধ্যে সাংগঠনিক বৈঠক করে জানাবেন তিনি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানান, “যে ক’টা আসনে আমাদের প্রার্থী আছে সেখানেই আমরা লড়াই করব। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবেই।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিলটন রশিদের দাবি, “আমরা রামপুরহাটে লড়াই করব। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, মানুষের ভোটদানের অধিকার ফিরিয়ে আনা রাজ্যের স্বার্থেই খুব জরুরি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.