টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে খচ্চরের পিঠে সওয়ার হয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা। সেই ছবি এবার বাঁকুড়া জেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সমালোচিত তিনি৷
লোকসভা নির্বাচনের মুখে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই নিজ নিজ লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে প্রচারে ঝড় তুলছেন। চৈত্রের রোদ মাথায় নিয়ে কেউ মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছেন। কেউ আবার সাইকেলে চেপে নিজের নির্বাচনী প্রচার সারছেন। প্রত্যেকেই নিজেদের প্রচারে নিত্য নতুন চমক দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই প্রচারে চমক দিতে সব কিছুকে টপকে খচ্চরের পিঠে চেপে বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরার ঘুরে বেড়ানো ও ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়ায় ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ তা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। গলায় দলীয় উত্তরীয় আর হলুদ পাঞ্জাবি পরিহিত অবস্থায় একটি খচ্চরের পিঠে চড়ে তাঁর ঘুরে বেড়ানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। জেলার একাধিক বাসিন্দার ফেসবুকের ওয়ালে ছড়িয়ে পড়েছে এই ছবি। ওই ছবির উপর অনেকেই নানা ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনিও করছেন। অনেকেই লিখছেন, আগে এমনভাবে প্রার্থীদের কখনও প্রচার করতে দেখা যায়নি। আগে এমনটা দেখাও যেত না। কিন্তু ইদানীং এমন সব ছবি নজরে পড়ছে।
প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের একের পর এক প্রার্থীর ভাইরাল ছবি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। যাদপুরের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী, বসিরহাটের নুসরত জাহানের পর এবার বিষ্ণুপুরের শ্যামল সাঁতরার এই ছবিতে ভরে গিয়েছে ফেসবুক ওয়াল। দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, শ্যামলবাবু ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে জোরদার প্রচার করছেন। শামলবাবুর এমন খচ্চরের পিঠে চড়ে প্রচারের ছবি নেটিজেনদের কাছে এই মুহূর্তে মুখরোচক হয়ে উঠেছে ঠিকই, তবে তাঁর বক্তব্য, “আমার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। মানুষের কাছে আমার ছবি পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। সেই দিক থেকে আমি একশো শতাংশ সফল। সে হুডখোলা গাড়ি বা সাইকেল কিংবা খচ্চরের পিঠে চড়ে প্রচার যাই হোক না কেন। লোকে আমার মুখটি মনে রাখছেন। আর ভোটের ব্যাক্সে তার প্রতিফলনও মিলবে।”
আত্মপ্রত্যয়ী বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা। সব মিলিয়ে এদিনের শ্যামলবাবুর প্রচার ঘিরে জেলার বিভিন্ন ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে হাসির রোল উঠেছে। সবাই বিষয়টিতে দারুণ মজা পেয়েছেন। বিশেষ করে ফেসবুক দেখলে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.