শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: উত্তরের ছোট্ট একটি গ্রাম৷ সেখানেই বেড়ে ওঠা৷ তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য নিজের গ্রাম ছেড়ে চলে আসতে হয় শহরে৷ পড়াশোনা করতে করতেই অভিনয়ে সুযোগ৷ তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷ জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার ছোট্ট মেয়ে মিমিই এখন টলিউডের নামকরা অভিনেত্রী৷ তবে এখানেই তাঁর পরিচয় সীমাবদ্ধ নয়৷ সদ্যই শুরু করেছেন কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস৷ তিনি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীও বটে৷ বহু বছর পর পয়লা বৈশাখে আবারও শহর ছেড়ে উত্তরবঙ্গে নিজের এলাকায় মিমি৷ ভাসলেন আবেগে৷
স্কুল কিংবা টিউশন যাওয়া – সবক্ষেত্রেই মিমির সঙ্গে যেতেন সঞ্জয় মামা৷ হাঁটা মিমির এক্কেবারে না-পসন্দ৷ তাই তো রিকশাই তাঁর একমাত্র ভরসা৷ সঞ্জয় মামার রিকশা চড়ে সব জায়গায় যেতেন ছোট্ট মিমি৷ বেশ কয়েক বছর পর আবারও পাণ্ডাপাড়ায় ফিরেছেন আদরের ভাগনি৷ প্রিয় সঞ্জয় মামা তাকে রিকশা চড়াবেন না, তা হতেই পারে না৷ সেই ছোট্টবেলার মতো সোমবারও বাড়ি থেকে সঞ্জয় মামার রিকশা চড়েই কালীমন্দিরে যান যাদবপুরে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী৷ সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা৷ সাংবাদিকদের সামনে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ভুললেন না মিমি৷ তিনি বললেন, ‘‘সঞ্জয় মামার সঙ্গে রিকশায় চড়ে মন্দিরে যাওয়ার সময় যেন গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল৷’’ জানালেন সঞ্জয় মামার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা৷ মিমি বলেন, ‘‘সঞ্জয় মামার ইচ্ছা ছিল, আমাকে আমেরিকা পাঠাবে৷ নিজেই বলতেন, প্রয়োজন হলে কিডনি বিক্রি করে দেব৷’’ বেশ কয়েকবছর পর নিজের এলাকায় ফিরে বেশ নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন মিমি৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা আমার মাটি৷ এতদিন পর এখানে এসে খুব ভাল লাগছে৷’’
আগামী ১৮ এপ্রিল জলপাইগুড়িতে ভোট৷ সে কারণেই পাণ্ডাপাড়ার বাড়িতে ফিরেছেন মিমি৷ এছাড়াও পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর৷ মিমির আগমনে যেন এক্কেবারে ভোল বদলে গিয়েছে গোটা এলাকার৷ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও যাওয়ার কথা রয়েছে তারকা প্রার্থীর৷ উৎসবের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা৷ মিমিকে একপলক দেখার জন্য পাণ্ডাপাড়ার অলিগলিতে উপচে পড়া মানুষের ভিড়৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.