সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রমজানে ভোট, কষ্ট হবে সংখ্যালঘু ভাইবোনদের। তাই তাঁদের সঙ্গে রোজা রাখবেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে নিজেই এই ঘোষণা করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। মিমির এই ঘোষণার পর ফের সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করছে বিজেপি।
ভোট ঘোষণার পর থেকেই ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে তৃণমূল। রমজান মাসের মাঝে ভোট করানোর সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংখ্যালঘু ভোটারদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে কমিশনের উচিত ছিল, রমজান মাসে ভোট না করানো। একই কথা বলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ইচ্ছে করে সংখ্যালঘুদের যাতে অসুবিধা হয়, তা সুনিশ্চিত করতেই রমজান মাসের মধ্যে ভোট করানো হচ্ছে। মোট কথা, ভোট ঘোষণার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, রমজান মাসে ভোটের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চলেছে।
দলের সেই রাজনৈতিক লাইন মেনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বারুইপুরের কোয়াতলায় গিয়ে রমজানে রোজা রাখার কথা ঘোষণা করলেন মিমি। কোয়াতলায় সংখ্যালঘুদের একটি অনুষ্ঠানে তারকা প্রার্থী বলেন, ” আগামী ১৯ মে ভোটের দিন। ওইদিন রমজানের উপোসও চলবে। আপনাদের কথা দিচ্ছি, ওইদিন আমিও উপোস করব। বিকেলে আপনাদের সঙ্গেই রোজা ভাঙব।” মিমির এই প্রতিশ্রুতির পরই হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভাস্থল। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই যেভাবে প্রচারে ঝড় তুলছেন অভিনেত্রী প্রার্থী তাতে খানিকটা অবাক দলের কর্মীরাই। পুরোদস্তুর রাজনীতিকরাও অভিনেত্রীর সঙ্গে পেরে উঠছেন না। অনেকে বলছেন, মিমির এই রোজা রাখার ঘোষণাতেই স্পষ্ট, ভোটের আগে ‘পাবলিক পালস’ বুঝতে শিখে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
বিরোধীদের অবশ্য অভিনেত্রীর এই মন্তব্যে বেশ আপত্তি আছে। তাঁরা বলছেন, ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের তোষণ, তৃণমূলের পুরনো অভ্যেস। কিন্তু এবারে এসবে কাজ হবে না। কোনওভাবেই জিততে পারবেন না মিমি। হারজিতের হিসেব অবশ্য বোঝা যাবে আগামী ২৩ মে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.