শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: নির্বাচনের পরেও অশান্তি অব্যাহত উত্তর দিনাজপুরে। শুক্রবার রাতে ফের তৃণমূল-কংগ্রেস সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়ার ঘিরনিগাঁও এলাকা। অভিযোগ, এক কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পালটা তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের উপর হামলার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। রাতভর সংঘর্ষের জেরে এখনও থমথমে এলাকা।
১৮ এপ্রিল নির্বাচন চলাকালীন দিনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল চোপড়া। ভোটের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় বছর ১৪-এর এক কিশোর। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের তৃণমূল-কংগ্রেস সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল চোপড়ার কোটগছ এলাকা। সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে বছর ৬৫-এর কংগ্রেস নেতা তমিরুদ্দিন বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ফেলে। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। এরপর বেধড়ক মারধর করা হয় ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ, পরে ওই ব্যক্তির বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন কংগ্রেস নেতা তমিরুদ্দিন।
অভিযোগ, আক্রমণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দয়ারামগজের ঘিরনিগাঁও পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য হালিমুদ্দিনের বাড়িতে চড়াও হয় কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। সেখানে ওই তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা বর্তমানে দলুয়া ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংঘর্ষ প্রসঙ্গে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানের অভিযোগ, ‘কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা একত্রিত হয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ করছে। গোটা রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করতেই এই কাজ করছে কংগ্রেস ও বিজেপি।’ এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ের মন্তব্য, ‘তৃণমূল কর্মীরাই আমাদের সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে।’ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ‘গতরাতের ঘটনায় উত্তপ্ত চোপড়া। ফের যাতে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়, সেই কারণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ তবে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও কোনও দলের তরফেই থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.