নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ডাইনি অপবাদ দিয়ে গ্রামের তৃণমূল কর্মীদের পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী বীরভূমের গ্রাম কদমহিড়িতে। অভিযোগ, প্রাণভয়ে এখনও বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না গ্রামের প্রায় দশটি পরিবার৷ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা৷
[বিয়ের আগের রাতেই নদিয়ায় খুন পাত্রীর বাবা, শোকের ছায়া এলাকায়]
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্বপন মুর্মু নামে গ্রামের এক যুবকের পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। যার দায় চাপানো হয়, ওই গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী মুর্মু, নীলমণি মুর্মু, সুনদী মুর্মুর উপরে৷ এরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে পরিচিত। অভিযোগ, এদের প্রত্যেককে ডাইনি অপবাদ দিয়ে বলা হয়, ওই যুবককে তারাই হত্যা করেছে৷ এরপরই শুরু হয় এলোপাথাড়ি মারধর৷ লাঠি দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি, হামলা করা হয় এদের বাড়িতে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। দু’ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি৷ এরপরেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের স্পষ্ট অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড থেকে শোনিরাম মুর্মু নামে এক বহিরাগতর নেতৃত্বে এলাকায় লোক ঢুকিয়ে অশান্তি তৈরি করেছে বিজেপি নেতারা৷ পানীয় জলের কল বন্ধ করে ওই দশটি পরিবারকে জঙ্গলের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
[খড়গপুর আইআইটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাষ্ট্রপতি]
ঘটনার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা৷ চরিচা পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য অমল মুর্মু-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর৷ তৃণমূলের কার্যকরী ব্লক সভাপতি তাপস সিনহার হুঁশিয়ারি, পুলিশকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে গ্রামে গিয়ে রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবিলা করা হবে। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দাবি, মিথ্যা মামলা দিয়ে মহম্মদবাজারে বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। এবারও তাই হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.