অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সবং। বিজেপির (BJP) ঘরোয়া বৈঠক চলাকালীন দলীয় কর্মীদের মারধর, বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পালটা হামলার অভিযোগ এনেছে তৃণমূলও (TMC)। শনিবার রাতের এই ঘটনায় দু’দলের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালেও থমথমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সবং ব্লকের ১০ নম্বর ভেমুয়া অঞ্চলের খোড়াই গ্রাম। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের কর্মীরা বাড়িতে বৈঠক করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকাই রড-লাঠি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় বিজেপি কর্মীদের ৫টি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন দুই মহিলা-সহ পাঁচজন বিজেপি কর্মী। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সবংয়ের পশ্চিম মণ্ডলীর সভাপতি দীপক থতুয়া জানান, “তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তাদের হামলায় আমাদের ৮ সদস্য জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা।”
অন্যদিকে তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, বিজেপির ঘরোয়া বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল কর্মীরা ওই এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। ব্যাপক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় তিনজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। সংঘর্ষে তৃণমূল-বিজেপি আহত কর্মীদের সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। খোড়াই গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তরুণ মিশ্রের পালটা দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আদি ও নব্য বিজেপির দ্বন্দ্বের জেরে এই অশান্তি ছড়িয়েছে।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সবং থানার ওসি গৌতম মাইতি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় দু’দলই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযোগ পালটা অভিযোগে আপাতত উত্তপ্ত সবং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.