Advertisement
Advertisement
Sandeshkhali

আঁধারে আতঙ্ক! রাতের সন্দেশখালিতে চোরাগোপ্তা ‘হামলা’, দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ

ঘরে ঢুকে তৃণমূল নেতাদের তাণ্ডবের অভিযোগ, বিজেপির বিরুদ্ধে বাঁশপেটার পালটা অভিযোগও উঠেছে।

TMC-BJP clash at Sandeshkhali, people face attack at night
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 3, 2024 11:15 am
  • Updated:June 3, 2024 3:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালিতে আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না। রাজনৈতিক অশান্তির জেরে সাধারণের জীবন বিপর্যস্ত, আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। কখনও ঘরে ঢুকে দুষ্কৃতীদেক তাণ্ডব, কখনও বা প্রকাশ্য রাস্তাতেই হামলার চেষ্টা। ভোট আবহে তা যেন ঘটছে আরও বেশি করে। রবিবার পুলিশ গেলে এলাকার মহিলারা কার্যত গণপ্রতিরোধ করে। এলাকা ছেড়ে চেল যায় পুলিশ। রাতেই পর পর দুটি জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে থানায় জমা পড়ে অভিযোগ। আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে, ভোটের দিন সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় ৫ বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খুলনার নিতাই মোড়ের বাসিন্দা সঞ্জীব মণ্ডল, পিয়ালি মণ্ডলকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানা এলাকার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC)বিরুদ্ধে। এলাকার তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মণ্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে এলাকায় ঢুকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। অভিযোগ, সেই সময় এলাকার দম্পতি সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালি মণ্ডল বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করলে এলাকার মানুষজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। ঘটনার পর রাতেই তাদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান মহিলারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাল ছাপিয়ে সবুজ হয়ে গেরুয়া! এক দশকে কীভাবে বদলাল বাংলার ভোট মানচিত্র?

এদিকে, বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ বিধানসভার মুকুন্দপুরের তৃণমূল কর্মী বাপ্পা মণ্ডল ভোটের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পরই হামলার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে তিনি পাড়ার দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, আচমকা একদল বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতী দোকান থেকে তাঁকে বের করে এনে বাঁশ দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। স্থানীয়রা ঘিরে ধরলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বাপ্পাকে উদ্ধার করে হালুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি অচিন্ত্য সর্দার ও জয়ন্ত সর্দারের নামে দুই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি বলেন, ”আমি তৃণমূলের প্রচার করি, সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। ওদের অনেকদিনের রাগ ছিল আমার উপরে, তাই পরিকল্পনা করে এসে আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল।” হাড়োয়ায় বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতি অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ”একটা ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। সেটা পারিবারিক অশান্তি। ইচ্ছা করে রাজনৈতিকভাবে বিজেপি দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নেই।”

[আরও পড়ুন: সমস্ত এক্সিট পোলের উলটো আভাস, AI-এর সমীক্ষায় ব্যাকফুটে বিজেপি!]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement