সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রচার শেষ। কিন্তু ঝুমুর-সাঁওতালি গানের অডিও-ভিডিওতে সোশ্যাল সাইটে প্রচার যুদ্ধ এখনও জমজমাট। জঙ্গলঘেরা বান্দোয়ান থেকে ঝালদা পুর শহর, খনি অ়ঞ্চল নিতুড়িয়া থেকে শহর পুরুলিয়া। লোক গানে ‘ভোট উৎসব’-এর প্রচার চলছেই। সাঁওতালি গানে উঠে আসছে দু’টাকা কেজি চালের কথা। ঝমুর গানে ধরা পড়েছে দেশের গৌরবের বার্তাও। সবে মিলিয়ে ঘাস-পদ্ম ফুলের লড়াই কিন্তু থেমে নেই। বরং গানে গানে তা আরও জমজমাট।
বান্দোয়ানের হারাদা এলাকার শঙ্করচন্দ্র মাণ্ডির গান শোনা যাচ্ছে সোশ্যাল সাইটে। “আব দিশম দরে বির দিশম কানা/ ঘাস বাহারে গে চাউলে গেলে কানা/ লেখা সুমুন টাকা বস্তা পেবেক চাউলে/ আতা আগু জঙ মে সপ্তাহ রে/ চাউলে দারে দরে জিউড়দহই লাগি/ ঘাস বাহারে ভোট গন এমা।” এই সাঁওতালি গানটির বাংলা অর্থ হল , “আমাদের অঞ্চল জঙ্গল এলাকা। ঘাস ফুলে ফুটছে চাল। সামান্য টাকায় বস্তা ভরা চাল পাওয়া যায় প্রতি সপ্তাহে। সেই চাল গাছটা বাঁচিয়ে রাখার জন্য ঘাস ফুলে আমরা ভোট দেব।” বান্দোয়ানের এই শিল্পীকে এবার একাধিক গান গাইতে দেখা গিয়েছে। আর প্রচার শেষে তাঁর সেই গান ঘুরছে সোশ্যাল সাইটে। শিল্পীর কথায়, “সব ভোটেই আমি গান বাঁধি। এবারও একাধিক প্রচারে আমি এই গান গেয়েছি।”
পিছিয়ে নেয় গেরুয়া শিবিরও। তাঁরাও ঝুমুর গানে ঝড় তুলেছে। “গেরুয়া রঙে রাঙাবো/ জ্যোতির্ময়কে জিতাব/ পদ্ম ফুলে ভোটটা দিয়ে/ দেশের গৌরব বাড়াব।” কিংবা “শুন শুন ভোটার গন/ করি হামরা নিবেদন/পদ্ম ফুলে ভোট দিয়া চাই/ এবার পদ্ম ফুলে ভোট দিয়া চাই/ দিয়া চাই গো/ জ্যোতির্ময়দাকে চল জিতাই।” সেই সঙ্গে রয়েছে, “সারা পুরুলিয়া গেরুয়াময়/জিতছে এবার জ্যোতির্ময়।” এছাড়া, বিজেপির আরও একটি গান হিট হয়েছে, “মোদিকে বেশ ভাল লাগেইছে/ভাল লাগেইছে/ চাইরধারে পদ্ম ফুলের ছাপ পড়েছে/ চাইরধারে বিজেপির ঝান্ডা উড়েছে।” অন্যদিকে জঙ্গলমহলের নামকরা ঝুমুর শিল্পী অঞ্জলি মাহাতোর ভোটকে নিয়ে গান এবারও হিট করে। “ভোট আইল চলে/ জোড়া ফুলে মাররে ভোট সকলে।” অর্থাৎ সব মিলিয়ে গানে গানে লড়াইয়ে জমজমাট পুরুলিয়ার প্রচার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.