প্রতীকী ছবি।
চঞ্চল প্রধান,হলদিয়া: নন্দীগ্রামে (Nandigram) ফের আক্রান্ত এক তৃণমূল কর্মী। আহত কর্মীর নাম কৃষ্ণকান্ত শিট। শনিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার সময় কয়েকজন বিজেপি কর্মী তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাউদখালি মনসা বাজার এলাকার ঘটনা।
অনুষ্ঠান বাড়ি সাজানোর কাজ করেন আহত কৃষ্ণকান্ত। কাজ সেরে বাইকে সাউদখালি এলাকায় বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর পথ আটকে মারধর করতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তৃণমূল কর্মীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির (BJP) তমলুক (Tamluk) সাংগঠনিক জেলার সদস্য অভিজিৎ মাইতি বলেন, “দাউদপুরে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমূলের কর্মীরা। সেই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই ধরনের মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। এতে কোনও লাভ হবে না।” এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ জানিয়েছেন, “বিজেপি কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করছে। আমরাও পালটা আক্রমণে যেতে পারি । কিন্তু তা করব না। এলাকার পরিবেশ শান্ত রেখে এলাকার মানুষকে নিয়ে কাজ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে রাস্তায় দলীয় পতাকা লাগাতে গিয়ে জখম হন এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দিকে। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নয়নান গ্রামের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স, ব্যানার লাগাছিলেন স্থানীয় সংখ্যালঘু মোর্চার ব্লক আহ্বায়ক আব্বাস বেগ। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে বচসা বাধে তৃণমূল কর্মীদের। যা পৌঁছয় হাতাহাতিতে।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সদস্য সুদীপ দাস জানিয়েছেন, “তৃণমূলের মাটি সরে গিয়েছে নন্দীগ্রামে। সেজন্যই তারা মারধর সন্ত্রাসের পথ ধরেছে। সংখ্যালঘু মোর্চার নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক কনভেনার আব্বাস বেগকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করছি।” ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে স্থানীয় দাউদপুর ভাটপুকুর পাড় বাজারে বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ।
যদিও ঘটনাটিকে সাজানো বলে দাবি তৃণমূলের। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ জানিয়েছেন, “আব্বাস বেগ এলাকার কয়েকজনের কাছে টাকা ধার নিয়েছিলেন। লোকজন টাকা চাইতে গেলে বচসা হয়। এখন জখম হওয়ার নাটক করছেন। বিজেপি নেতা কর্মীরা পরিস্থিতি বুঝে এমন বহুরূপী সাজতে পারেন। সামনে লোকসভা নির্বাচনে চালাকির যোগ্য জবাব দেবেন এলাকার মানুষ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.