সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর ইস্যুতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র ডাকে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। তার প্রতিবাদে আজ, বুধবার বিজেপি রাজ্যে ১২ ঘন্টা ধর্মঘট পালন করছে। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এর প্রভাব পড়েছে। ট্রেন, বাস চলছে না অনেক জায়গায়। কাজে বেরিয়ে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। দিনভর ধর্মঘটের খুঁটিনাটি খবর সংবাদ প্রতিদিন.ইন – এ।
বিকেল ৫.০৫: অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে নবান্ন অভিযান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় থাকবেন, আর বাংলাকে বদনাম করবেন, এটা আমি মেনে নেব না। কখনও কখনও মানুষকে সহ্য করতে হয়। কিন্তু আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে, আমি কী করতে পারি আপনারা জানেন না। আমাকে ছোঁয়া অত সহজ নয়।” আইন নিজের হাতে না তুলে নিলেও কর্মীরা যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার বার্তাও দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পদক্ষেপের আর্জি জানান সুকান্ত।
দুপুর ৩.৩৫: বনধের বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেেন, “বাংলার জনগণকে নত মস্তকে প্রণাম জানাই। মানুষ বনধ সফল করেছে। এটা মানুষের বনধ। অনেকের হয়তো ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চাইছি। ধরনার অনুমতির জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” পুলিশকে নিশানাও করেছেন তিনি।
দুপুর ২.১৪: সুতির নিমতিতা স্টেশনে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ ধর্মঘটীদের। প্রবল উত্তেজনা। রঘুনাথগঞ্জের দাদাঠাকুর মোড়ে লালগোলা-রঘুনাথগঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির।
দুপুর ১.১৫: পরিকল্পনামাফিক আজকে বনধ ডেকেছে বিজেপি। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
দুপুর ১.০৫: ‘আগামী দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখন হবে সেখানে ৫৫ শতাংশ আসনে মেয়েরা যাতে লড়াই করতে পারে তা নিশ্চিত করব’, প্রতিশ্রুতি অভিষেকের।
দুপুর ১টা: ‘যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি হোক। ৪ মাসের মধ্যে আইন না আনলে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করব। মানুষ রাস্তায় নামলে কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা দলগতভাবে চিঠি লিখব কেন্দ্রকে’, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। কেন্দ্রের সরকার আইন না আনলে প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে এই বিল আনব সংসদে।
দুপুর ১২.৫৯: ‘দাবি এক দফা এক, ধর্ষণ বিরোধী আইন আনুক কেন্দ্রীয় সরকার। রাতারাতি লকডাউন, নোটবন্দি হলে ধর্ষণ বিরোধী আইন নয় কেন?’ প্রশ্ন অভিষেকের।
দুপুর ১২.৫০: ‘আমরা ২০১১ সাল থেকে বলে আসছি, আমরা বন্ধের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এই কর্মনাশা, সর্বনাশা বন্ধের বিরুদ্ধে আমরা। আমি বিজেপির বাংলার নেতৃত্বকে অনুরোধ করব, প্রতি ২৮ অগস্ট একটি করে বন্ধ ডাকুন। তা কী ভাবে প্রতিহত করতে হয়, বাংলার মানুষ জানে।
দুপুর ১২.৪২: ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি। মহিলাদের উপর অত্যাচার উত্তরপ্রদেশে বেশি। বাংলায় পদত্যাগের দাবি উঠলে সেখানে পদত্যাগের দাবি উঠছে না কেন?’ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তোপ অভিষেকের।
দুপুর ১২.৪২: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে আসার জন্য জেলা থেকে ট্রেনে রওনা হওয়া সদস্যরা আটকে বিভিন্ন স্টেশনে। শিয়ালদহ স্টেশনে দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি তুললেন কুণাল ঘোষ।
দুপুর ১২.২৫: বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মানকুন্ডু স্টেশন চত্বরে। ধর্মঘটে শামিল সাধারণ যাত্রীরা। চলল টিয়ার গ্যাস, পুলিশের লাঠি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার।
দুপুর ১২.১৫: বর্ধমানে জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে উত্তেজনা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে স্লোগান- পালটা স্লোগান। ঘটনাস্থলে পুলিশ।
দুপুর ১২.১১: সোনারপুরে রেললাইনের উপর শুয়ে ট্রেন অবরোধ। বিজেপির অবরোধ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি। ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রায় ১৫ বিজেপি নেতা-কর্মী।
বেলা ১১.৫২টা: বন্ধের জেরে রণক্ষেত্র ভাটপাড়া, চলল গুলি। আহত ২। সম্মুখ সমরে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের অনুগামীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল পুলিশ।
বেলা ১১.৪৯টা: বন্ধ ব্যর্থ করতে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল। নদিয়ার চাকদায় বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান তৃণমূলের।
বেলা ১১.৪০টা: বন্ধের বিরোধিতায় হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা খারিজ, আইনজীবীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
বেলা ১১.৩৬টা: হিন্দমোটর স্টেশনে বিক্ষোভকারী বিজেপি ও তৃণমূল দুই পক্ষের খণ্ডযুদ্ধে মাথা ফাটল বিক্ষোভকারীদের। বেলা ১১ টা নাগাদ হিন্দমোটর স্টেশন অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকরা। ট্রেন থামিয়ে চলে অবরোধ।
সকাল ১১.৩০টা: কলকাতা আসার পথে খেজুরিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাস ভাঙচুর বন্ধ সমর্থকদের।
সকাল ১১.১০টা: হাওড়া ময়দান চত্বরে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনা। হাওড়া পঞ্চানন তলায় বিজেপি কর্মীরা জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা করলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দেন। বিজেপি কর্মীরা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ জোর করে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। কমপক্ষে ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সকাল ১১টা: সেক্টর ৫-এ গ্রেপ্তার রাজ্যসভা সাংসদ এবং রাজ্য বিজেপি প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। গড়িয়াহাটে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে আটক করল পুলিশ।
সকাল ১০.৫০টা: বিজেপির ডাকা বন্ধ সমর্থন করেনি দার্জিলিং এবং কালেবুং জেলায় গোর্খা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রী মোর্চা এবং পুলিশ প্রশাসন সচল রেখেছে পুরো দার্জিলিং চক বাজার।
সকাল ১০.৩০টা: বিজেপির ডাকা বন্ধের কোন প্রভাব পড়েনি সাগরে। ছাত্র সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতার পথে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা।
সকাল ১০.২০টা: বিজেপির ডাকা বনধে কোনো প্রভাব পড়ল না সিঙ্গুরে। সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। দোকান, বাজার সমস্ত খোলা। রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না দলীয় কর্মীদের নিয়ে দোকান, বাজারে মানুষজনকে বন্ধের বিরোধিতায় আহবান জানান।
সকাল ১০.১৫টা: বন্ধ ঘিরে উত্তপ্ত ভাটপাড়া। পুলিশের সামনেই চলল গুলি।
সকাল ১০.১০টা: শ্যামবাজারে পথ অবরোধের চেষ্টা বিজেপির। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা-সহ একাদিক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সকাল ১০.০৫টা: উত্তরপাড়া ও হিন্দমোটর স্টেশনের মাঝখানে কলাপাতা দিয়ে রেল বন্ধ করলো বিজেপি।
সকাল ১০টা: রানিগঞ্জ মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ। দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা-সহ একাধিক বিজেপি কর্মী গ্রেপ্তার।
সকাল ৯.৫০টা: লেবুতলা পার্কে বনধ ঘিরে উত্তেজনা। দোকান খোলাতে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি। পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি নেতা সজল ঘোষের।
সকাল ৯.৫০টা: হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় কোন প্রভাবই পড়ল না বনধের। বাগনানে ৯৫ শতাংশ দোকান খোলা। একই অবস্থা উলবেড়িয়াতেও।
সকাল ৯.৪০টা: রানিগঞ্জে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ বিজেপি। পালটা তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে ব্যাপক অশান্তি। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি।
সকাল ৯.৩০টা: আসানসোলের জামুরিয়ায় তৃণমূল বিজেপির হাতাহাতি। বনধের বিরোধিতায় মাঠে নামে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা ও পরে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সকাল ৯.২০টা: বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই দুর্গাপুর বেনাচিতি বাজারের দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাধা। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সকাল ৯.১৫টা: শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার উত্তর রাধানগর ও মথুরাপুরে রেল অবরোধ বিজেপি সমর্থকদের
সকাল ৯.১০টা: চরম উত্তেজনা বারুইপুর স্টেশনে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধোর করে অবরোধ তুলে দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলা পরিষদের মৎস কর্মাধ্যক্ষসদস্য জয়ন্ত ভদ্র সঙ্গে বচশা।
সকাল ৯টা: কুলটিতে জিটি রোড অবরোধ করল বিজেপি। আসানসোলের কুলটি বিধানসভা অন্তর্গত নিয়ামতপুর সেন্ট্রাল বিজেপি কার্যালয়ের সামনে অবরোধ হয়। চেয়ার ও বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। জি টি রোড অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। শুধু অবরোধ নয়, বাংলা বনধের সমর্থনে মিছিলে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
সকাল ৮.৫০টা: বিজেপির ডাকা বন্ধকে উপেক্ষা করেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা টিএমসিপির।
সকাল ৮.৪০টা: অবরোধের চেষ্টা, শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের সামনে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করলো পুলিশ।
সকাল ৮.৩০টা: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় দক্ষিণ বারাসত স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপির। স্তব্ধ লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা রুটের ট্রেন চলাচল।
সকাল ৮.২৪টা: আসানসোল বাজারে বন্ধের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিল।
সকাল ৮.১৫টা: বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার নেতৃত্বে বনগাঁ স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপির। স্তব্ধ শিয়ালদহ উত্তর শাখার ট্রেন চলাচল।
সকাল ৮.১০টা: কল্যাণী ৪২ নম্বর রেলগেটে শিয়ালদা রানাঘাট শাখার মেন লাইনে অবরোধ বিজেপির হাজারদুয়ারি আপ এক্সপ্রেস আটকে দিল বিজেপি। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। অবরোধ তোলার চেষ্টায় পুলিশ।
সকাল ৮ টা: কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে রেল অবরোধ করল কল্যাণী শহর মন্ডল বিজেপি। সাতটা কুড়ির কল্যাণী শিয়ালদা লোকাল কল্যাণী শিল্পাঞ্চল রেলস্টেশনে আটকে দেয় বিজেপির নেতা কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কল্যাণী থানার পুলিশ। এর পর অবরোধ তুলতে বাধ্য করা হয় বিজেপি।
সকাল ৭.৪২টা: আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত মহিশিলায় বিজেপি সমর্থকরা বন্ধ সমর্থনে রাস্তায় নামলে তৃণমূল কর্মীদের সাথে বচসা, উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সকাল ৭.৪০টা: রানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে বন্ধ সমর্থনকারীদের সাথে পুলিশের বচসা।
সকাল ৭.২০টা: আসানসোলের কুলটি বিধানসভা অন্তর্গত নিয়ামতপুর সেন বিজেপি কার্যালয়ের সামনে জি টি রোড অবরোধ করে বাংলা বন্ধের সমর্থনে নামলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
সকাল ৭.১০টা: সকাল থেকে আলিপুরদুয়ারের রাস্তায় পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার চৌপথিতে বনধ সমর্থনকারীদের গ্রেপ্তার করল পুলিশ। যানবাহন আটকালে পুলিশ বনধ সমর্থনকারীদের গ্রেপ্তার করে।
সকাল ৭টা: বিজেপির ডাকা ১২ বন্ধ সকাল থেকেই উত্তেজনা কোচবিহারে। কোচবিহার বাস টার্মিনাসে বিজেপির দুই বিধায়ক এবং বিজেপি কর্মীরা সরকারি বাস আটকে দিলে পুলিশ তাদের আটক করে। বেসরকারি কিছু বাস রাস্তায় থাকলে বেশিরভাগ বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.