সোমনাথ পাল, বনগাঁ: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূল কর্মীদের কোপানো ও মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে বনগাঁ মহকুমার অন্তর্গত চৌবেরিয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতে এলাকায়৷ অভিযোগ, ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন তৃণমূল কর্মী সৌমেন সুতার৷ তাঁকে ভরতি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে৷ পাশাপাশি অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে৷ যাতে চোট পেয়েছেন আরও পাঁচ শাসক দলের সমর্থক৷
[তিনদিন প্ল্যাটফর্মে পড়ে অসুস্থ বৃদ্ধা, ফিরেও দেখল না কেউ!]
জানা গিয়েছে, চৌবেরিয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং চারটি আসন পেয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেখানে পঞ্চায়েতের বোর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ বোর্ড গঠন করে তৃণমূল৷ পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয় প্রধান হিসাবে বনানী নন্দীকে৷ এরপর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় বিজয়োৎসব বের করা হয়৷ অভিযোগ, বিজয়োৎসব শেষে এক তৃণমূল কর্মী বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন যুবক তাঁর রাস্তা আটকায়৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মী ফোন করে অন্যান্যদের বিষটি জানান। শাসক দলের অন্যান্য কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসতেই দু’পক্ষ মধ্যে ঝামেলা শুরু যায় এবং সেই ঝামেলার ফলেই কোপ মারা হয় টিএমসিপি সমর্থক সৌমেন সুতারকে৷ মারধরে আঘাত পান আরও পাঁচজন শাসক সমর্থক৷ সৌমেন সুতারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠান হয়৷ বাকিদের পাল্লা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়৷ মারধরের ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷
[বারবিশা বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের নাচ কাণ্ডে তদন্তকারী দল গঠন]
পাশাপাশি, শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজয়ী বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি৷ ঘটনাটি ঘটে গাইঘাটা থানার জলেশ্বর এক নাম্বার পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে৷ জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের ১৪টি গ্রাম সভার মধ্যে, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়দলই ছটি করে আসন পেয়েছে ও নির্দল পেয়েছে দুটি আসন৷ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বিপ্লব হালদারের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থী রুপালী মুন্ডাকে শাসক দলের দুষ্কৃতকারীরা অপহরণ করেছে৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.