Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC

ছাব্বিশের ভোটে বিজেপির অস্ত্র ‘বিভাজন, দাঙ্গার চেষ্টা’! রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন ব্রাত্য, পার্থরা

শুক্রবার 'ভূতুড়ে' ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজের শিবিরে বার্তা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

TMC allerts people not to be effected by divisive politics of BJP
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 18, 2025 9:15 pm
  • Updated:April 18, 2025 9:27 pm  

অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভোটার তালিকায় ‘ভূত’ চিহ্নিত করতে রাজ্যজুড়ে কাজ শুরু করেছেন প্রায় এক লক্ষ তৃণমূল কর্মী। বাংলার নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ‘দিদির দূত’ নামে একটি অ্যাপে সেই নাম নথিভুক্তও শুরু করেছেন বুথ স্তরের এজেন্টরা। শাসক দলের আগাম এই সতর্কতায় ছাব্বিশের ভোটের আগে পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। তাই তাঁরা মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টায় নেমেছে। শুক্রবার এমনই অভিযোগ তুলে সুর চড়ালেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, পার্থ ভৌমিকের স্পষ্ট অভিযোগ, “বাংলাকে বদনাম করতে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বহিরাগত কিছু অশুভ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, ফেক নিউজ ভিডিও ছড়িয়ে রাজ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

শুক্রবারের এই সভায় মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বিজেপির হাতে আর কোনও অস্ত্র নেই। তাই ওরা বিভাজনের রাজনীতির রাস্তা বেছে নিয়েছে। গত লোকসভায় সন্দেশখালি থেকে এই অপপ্রচার শুরু হয়েছে। আগেও নানাভাবে ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে মানুষের মনে ভীতি তৈরি করা। এখন চেষ্টা করছে দুটি ধর্মের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা।”

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লির সিআর পার্কে আমিষ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর সংযোজন, “মধ্যযুগীয় শাসকের মতই বিজেপি ফতোয়া জারি শুরু করেছে। তার একটি উদাহরণ হল দিল্লির অভিজাত বাঙালি এলাকা চিত্তরঞ্জন পার্কের ঘটনা। সেখানের বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাস বদলাতে চাপ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে বাজারে কোন মাছ, মাংস বা আমিষ জাতীয় কিছু বিক্রি করা যাবে না। বাংলা এবং বাঙালিকে বিশেষভাবে সতর্ক করার জন্য এই কথাটি বললাম।” মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “বিজেপি এর আগে প্রধানমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে, একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এসে ভোটের প্রচার করেছে। কিন্তু মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের উপরেই আস্থা রেখেছে। তাই শেষে ওরা বিভেদের পথ বেছে নিয়েছে।”

সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

রাজের মহিলাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ, প্রকল্প বাংলার নারীদের অন্যান্য সম্মান তৈরি করেছে। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি টিকতে দেবে না বলেও এদিন জানান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ভুয়ো ভোটার প্রসঙ্গেও এদিন মারাত্মক অভিযোগ তোলেন বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বাংলা সুরক্ষিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে জানিয়ে তিনি বলেন, “এক একটি পার্টে ৩০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করা গেছে। হাবরায় এরকম প্রায় ২৬ হাজার নাম পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি বা অন্য কোনও রাজ্যে বসে এই নামগুলি বিজেপি তুলিয়েছে, এটা আমরা নিশ্চিত।” সাংবাদিক সম্মেলনে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এহেন সুর চরানোর পর ভোটার তালিকা নিয়ে মধ্যমগ্রাম এবং টিটাগড়ের জেলা কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন বারাসত এবং বারাকপুর দমদম সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub