জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভোটের মুখে অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি হিসেবে বাংলার যুবকের ভুয়ো ছবি ব্যবহার। ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তাঁর দাবি, বন্দি হিসেবে যে যুবকের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তিনি নাকি কোনওদিন অসমে পা-ই রাখেননি!
সিএএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জারি চাপানউতোর। রাজ্যের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে, সিএএ লাগু হলে বাংলায় অসমের মতো পরিস্থিতি হবে। এ নিয়ে দিন দুয়েক আগে অসমের করিমগঞ্জের এক যুবককে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “সিএএ’র নামে রাজ্যের মানুষ বিশেষ করে মতুয়াদের নাগরিকত্ব কেড়ে অনুপ্রবেশকারী বানানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।” এদিন তারই পালটা দিলেন শান্তনু ঠাকুর। তার পালটা একটি পোস্টার হাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তৃণমূলের সেই পোস্টারে অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে থাকা বেশ কয়েকজনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সেই ছবিতেই রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের পালপাড়ার বাসিন্দা মাধবচন্দ্র পাল।
মাধবচন্দ্র পালকে পাশে বসিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “ছবিতে থাকা মাধবচন্দ্র পাল ডিটেনশন ক্যাম্প তো দূর-অস্ত তিনি কোনওদিন অসমের মাটিতে পা পর্যন্ত রাখেননি। অথচ অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি অবস্থায় তাঁর ছবিই ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়।” বিদায়ী সাংসদের প্রশ্ন, এটা কী করে সম্ভব? ঠাকুরবাড়িতে বসে মাধব বলেন, “আমি গরীব মানুষ। ঠাকুরের নামে এদিক-সেদিক নাম সংকীর্তণ করে বেড়াই। দিন দশেক আগে এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য আমার ছবি চায়। পরে পঞ্চায়েত প্রধান নান্তুর নাম করে একজন আমার ছবি তুলে নিয়ে যায়। জিজ্ঞেস করলে ওই ব্যক্তি জানায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আমার ছবি চেয়েছেন। এর পর দুদিন আগে এলাকার একজন যুবক আমাকে জানায়, অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি অবস্থায় তার ছবি বেরিয়েছে তৃণমূলের পোষ্টারে!” এর পর থেকেই ভয়ে কাঁটা মাধব। মাধবকে পাশে বসিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “মিথ্যা প্রচারের একটা সীমা থাকা উচিত। সিএএ ইস্যুতে তৃণমূল যে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে মাধবচন্দ্র পালের বন্দিদশার ছবিতেই স্পষ্ট। জলজ্যান্ত মানুষকে এরা বন্দি বানিয়ে দিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.