সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: চাল চুরির অভিযোগে ধুন্ধুমার দুর্গাপুরে। শুক্রবার সকালে সরকারি গোডাউন থেকে চাল নিতে এসেছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। তাঁরা বৈধ নথি ছাড়া চাল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির মদতে তারা এই কাজ করছে বলেও সরব হয় তারা। এমনকী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের আটকে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত কোকওভেন থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে দুর্গাপুরের সগরভাঙার ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গোডাউন থেকে গলসির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চাল তুলতে আসে। সেই সময় তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কোনও বৈধ কাগজপত্রই ছিল না এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। এও অভিযোগ করেন অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিজেপি ঘনিষ্ট। আর এই রাজনৈতিক যোগ প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য ইসলাম মল্লিক ও তার এক বন্ধুকে আটকে রেখে পুলিশ ডাকে তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনার জেরে নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কেন বেআইনিভাবে চাল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গেটের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পরেন তৃণমূল কর্মীরা। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে কোকওভেন থানার পুলিশ ইরফান মল্লিক ও তার এক বন্ধুকে থানায় নিয়ে আসে।
ইরফান মল্লিক জানিয়েছেন, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” চাল চুরির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিত এই ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে।” স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের দাবি, সমস্ত বৈধ কাগজ তাদের হাতে ছিল তা সত্ত্বেও অহেতুক ঝামেলা তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এর কোনও ভিত্তি নেই। তবে লকডাউনের সময় চাল চুরির অভিযোগে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসের তরজায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.