Advertisement
Advertisement
Shantipur

শান্তিপুরে বিডিও অফিসে দরজা, চেয়ার ভাঙচুর, দায়ী কে? তরজায় তৃণমূল-বিজেপি

পালটা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

TMC accused of vandalizing BDO office in Shantipur

বিডিও অফিসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:February 12, 2025 5:04 pm
  • Updated:February 12, 2025 5:04 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলছিল বিডিও অফিসে। কিন্তু মুহূর্তে সেই বিক্ষোভ বদলে গেল। বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতি অফিস ভাঙচুর হল। ভাঙা হল দরজা। ছোড়া হল চেয়ার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর বিডিও অফিসে। ঘটনায় অভিযোগের তির শাসক দল তৃণমূলের দিকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়।

জানা গিয়েছে, শান্তিপুর বিডিওর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। সোমবার সেই ইস্যুতে অবস্থান বিক্ষোভ পালন করে বিজেপি। ঘরের মধ্যে বিডিওকে আটকে রেখে বেশ কয়েক ঘণ্টা অবস্থান, বিক্ষোভ চালায় গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি ‘পুরস্কার’ হিসেবে তৃণমূলের প্রতীকচিহ্ন তুলে দেওয়া হয় বিডিওর হাতে। সেই ঘটনার পালটা কর্মসূচি এদিন নিয়েছিল তৃণমূল।

Advertisement

আজ সেই ঘটনায় ফের বিডিও অফিসে প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানাতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা গিয়েছিলেন। ওই অফিসেই বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতির ঘর। তিনজনকেই বিডিওর ঘরে দেখতে পাওয়া যায়। বিজেপির হয়ে বিডিও কাজ করছেন। পালটা সেই অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডলের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালানো শুরু হয়। তাঁর ঘরের দরজা ভাঙা হয়।

এরপর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীর অফিসে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর চালানো হয়। তাঁর নেমপ্লেটও ভেঙে ফেলা হয়। ওই অফিসের একাধিক চেয়ার তুলে আছাড় মারা হয়। তৃণমূলের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও নিজেদের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতার দাবি, “তৃণমূল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিল। এখানে যারা চেয়ার ছুড়ে মেরেছে বা ভাঙচুর করেছে, তাঁরা হয়তো বিজেপি কর্মী। বিজেপি আমাদের ভেতর লোক ঢুকিয়ে এই কাজ করিয়েছে।”

বিজেপি নেতা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, “সরকারি অফিস ভাঙচুর করা তৃণমূলের সংস্কৃতি। এখানে শুধু বিজেপি বসেছে এমনটা নয়। এখানে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি দাও বসেছেন। সেই অফিস ভাঙচুর করা মানে সকলকেই অপমান করা।” উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে বিজেপি এই ইস্যুতে ফের আন্দোলনে নামবে। সেই কথাও বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement