অর্ণব দাস ও গোবিন্দ রায়: বারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গত ৩০শে এপ্রিল রাতে বারাকপুর পুরসভার ২০নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রমেশ সাউ ও তার ছেলের নেতৃত্বে ২০-২৫ মিলে বারাকপুর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর ওমকার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা-সহ মারধর করে। সমাজমাধ্যমে এই পোস্ট করার পর বিষয়টি জানাজানি হতেই বারাকপুর চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়ে কৌস্তভ বাগচী জানিয়েছেন, “লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ধারাবাহিক প্রচার করেছে গুন্ডারাজ খতম করবে। এদিকে তৃণমূল নেতা পুলিকে উর্দি পরা অবস্থায় মারধর করেছে। আমরা আগে বলেছি এ রাজ্যে বিরোধী সহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। দুর্ভাগ্যের বিষয় পুলিশেরও নিরাপত্তা নেই। দেখে অবাক লাগছে ৩০শে এপ্রিলের এই ঘটনার পর জুলাই মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের কাছে আমার অনুরোধ সহকর্মীর পাশে দাঁড়ান।”
যদিও পাল্টা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর রমেশ সাউ। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) দিন পনেরো আগে আমরা পুরসভার জমিতে দলের ব্যানার লাগাচ্ছিলাম। সেই জায়গাটি ওমকার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উলটোদিকে। তখন ওনার স্ত্রী ব্যানার লাগাতে বাধা দেয়। আমার ছেলে বলে জমিটি পুরসভার। তাও ওর স্ত্রী গন্ডগোল বাঁধিয়ে দেয়। থামাতে গেলে আমার সঙ্গেও তর্কাতর্কি শুরু করে। তারপরই বটি নিয়ে মারতে আসে। সেইসময় ওমকার এসে হেলমেট দিয়ে মারতে শুরু করে। বটি নিয়ে আঘাত করে, তখন আমার হাতে লাগে। তখনই ধাক্কাধাক্কি হয়। পাড়ার লোকেরা ছাড়িয়ে দেয়। দুপক্ষই বিষয়টি নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। তখন থানাতেই বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।”
পুলিশ জানিয়েছে, অনেক পুরোনো ঘটনা। ব্যানার লাগানো নিয়ে একটি বিবাদ হয়েছিল। পরে থানাতেই আলোচনা করে বিষয়টি মিটে যায়। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.