দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ৪০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। হুগলির ব্যান্ডেল চার্চে (Bandel Church) বড়দিন উপলক্ষে মধ্যরাতের প্রার্থনার সময়সূচি বদল। অন্যান্য বছর ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার সময় প্রার্থনা হয়। তবে এবার রাত সাড়ে ১০টায় হবে প্রার্থনা। নাইট কারফিউ শিথিল হওয়া সত্ত্বেও কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
গতকালে করোনার বাড়বাড়ন্তে ধুঁকছিল দেশ। তাই সে বছর বড়দিনে জমায়েতের ক্ষেত্রে জারি ছিল নানা বিধিনিষেধ। ব্যান্ডেল চার্চে ক্রিসমাস ইভের প্রার্থনা অংশ নিতে পারেননি সাধারণ মানুষ। তবে রাত ১২টার সময়ই হয় বিশেষ প্রার্থনা। কিন্তু এ বছর সময়সূচিতে বদল। প্রার্থনা রাত ১২টার পরিবর্তে হবে রাত সাড়ে ১০টায়।
রাজ্য সরকার ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাতের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। তা সত্ত্বেও কেন প্রার্থনার সময়সূচি বদল করা হল? ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার জনি জানান, মধ্যরাতের এই প্রার্থনায় বিভিন্ন মানুষ অংশ নিতে পারবেন না। তবে যাঁরা খ্রিস্টধর্মাবলম্বী তাঁরা অংশ নেবেন। তাই তাঁদের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত। কোভিড পরিস্থিতিতে সকলেই যাতে প্রার্থনা শেষে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সে কারণে এই সিদ্ধান্ত বলেই জানান তিনি।
ফাদার আরো জানান, কোভিডবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চার্চের সীমানার পাশাপাশি উপাসনা গৃহ, নতুন হল এবং অডিটোরিয়ামে মধ্যরাতের প্রার্থনা হবে। একই সঙ্গে তিনটি জায়গায় প্রার্থনা হলে ভিড় এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন। তবে চলতি বছর ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি চার্চের দরজা বন্ধ থাকবে। বিগত বছরগুলিতে চার্চের মাঠে সাধারণের প্রবেশ অবাধ ছিল। চলতি বছর সেই মাঠেও সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই বছরের এই দু’টি বিশেষ দিনে সাধারণ মানুষকে চার্চের বাইরে থেকেই চার্চ দর্শন করতে হবে। তবে চার্চের বাইরে গেটের সামনে যিশুর জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে এক গোশালা তৈরি হয়েছে। সেই গোশালা দর্শন করে প্রভু যিশুর কাছে প্রার্থনা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এদিকে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে কাশীপুর উদ্যানবাটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.