Advertisement
Advertisement
West Bengal

হিজাব বিতর্কের পর বাংলায় তিলক-তরজা! স্কুলের সামনে বিক্ষোভ ‘সনাতনী’দের

রঘুনাথগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের এহেন 'ফতোয়া'র বিরোধিতায় স্কুলের সামনে খোল-করতাল নিয়ে নাম সংকীর্তন করে প্রতিবাদ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। চাপে পড়ে প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য, স্কুলে তিলক পরে আসা নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই।

Tilak row in West Bengal school, Sanatanis stage protest
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 14, 2024 8:54 pm
  • Updated:June 14, 2024 11:18 pm  

সংযুক্তা চক্রবর্তী, জঙ্গিপুর: হিজাব বির্তকের পর বাংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবার তুলসী-তিলক নিয়ে আপত্তি! গলায় তুলসীমালা ও কপালে চন্দনের তিলক পরা ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ‘ফতোয়া’ জারি করলেন শিক্ষিকা। আর শিক্ষিকার এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে খোল-করতাল বাজিয়ে সংকীর্তন করে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে শামিল হলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষজন। শুক্রবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সন্দীপ চট্টরাজের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এনিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (Head Mistress) করবী নন্দী জানান, “এধরনের কোনও নিয়ম নেই। নিজের ধর্ম যে কেউ পালন করতে পারে। এক শিক্ষিকা কপালে তিলক (Tilak) পরা ছাত্রীকে স্কুলে আসতে বারণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু ছাত্রীরা তিলক পরে স্কুলে আসতেই পারে। এতে কোনও বাধা নেই।” মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অণু মণ্ডল জানিয়েছে, “গরমের ছুটির আগেও ভাস্বতী দিদিমনি আমাকে স্কুলে তিলক পরে আসতে বারণ করেছিলেন। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললে আমি স্কুলে যাই। ভাস্বতী দিদিমণি আমাকে বললেন, ‘তোকে বারণ করার পরেও তিলক পরে আবার স্কুল কেন এসেছিস?’ আমি বললাম, ‘আমি স্কুলে তিলক পরে আসতে পারব না, এটা আপনি কাগজে লিখে স্বাক্ষর করে দিন।’ এই কথা শুনে দিদিমনি আমাকে বকাবকি করেন। আমি ভয়ে কাঁপতে শুরু করি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘চুপ করে বসে থাকব না’, ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট না পেয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল]

এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্কুলের সামনে খোল-করতাল নিয়ে পৌঁছে যান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিক্ষোভকারী গোবিন্দ দাসের বক্তব্য, “স্কুলে তিলক ও তুলসী মালা পরে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রীকে আসতে বারণ করেছেন ওই শিক্ষিকা। এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছি। রঘুনাথগঞ্জ (Raghunathganj) থানার আইসির উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, এ ধরনের ফতোয়া স্কুলে জারি করা হয়নি। ছাত্রীরা চাইলে স্কুলে তুলসীমালা ও তিলক পরে আসতেই পারবে। তাঁর এই কথায় আমরা খুশি হয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিলাম।” যদিও প্রধান শিক্ষিকা করবী নন্দীর সাফাই, ”এই বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। তবে তিলক বা তুলসীর মালা পরে যে সকল ছাত্রীরা স্কুল আসতে চায়, তারা অবশ্যই আসতে পারবে। এতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।”

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনেও বাম-কংগ্রেস জোট, হাত শিবিরকে ১ আসন ছেড়ে প্রার্থী ঘোষণা সেলিমদের]

উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব (Hijab) পরা নিয়ে বিক্ষোভে সাম্প্রতিককালে গোটা দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা সর্বজনবিদিত। বিশেষত কেরলের। এনিয়ে হাজার সওয়াল-জবাব, শুনানি শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের বিপক্ষেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই ঘটনার রেশ আছড়ে পড়েছিল এই বঙ্গেও। এবার স্কুলে তিলক পরা নিয়ে তরজায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ।

দেখুন ভিডিও: 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement