সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফের বাঘিনী জিনাত বা গঙ্গার অবস্থান বদল। পুরুলিয়ার পর এবার বাঁকুড়ায় বাঘিনী। বনদপ্তর সূত্রে খবর, মুকুটমণিপুর জলাধারের আশেপাশে অবস্থান করছে সে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জালের ফাঁক দিয়ে পালায় সে। লোকালয় হওয়ায় আতঙ্ক চরমে। ইতিমধ্যে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে।
বাঘিনীকে ধরতে বনদপ্তরের তরফে ট্র্যাকার, ড্রোন নাইট ভিশনের বন্দোবস্ত করা হয়। স্যাটেলাইট লোকেশনে ৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর বাঘিনীর অবস্থান জানা যায়। তবে প্রায় ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় বাঘিনীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। চারটি ট্র্যাকারই তার অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারছে না বলেই খবর। শনিবার সকালে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পাড় ধরে যাচ্ছিল বাঘিনী। মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের ধানাড়া পেরিয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধারের কাছাকাছি পৌঁছেছে জিনাত বা গঙ্গা। বনকর্মীদের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রবল শীতে শুক্রবার রাত থেকেই জলাধারের জল এড়াচ্ছিল বাঘিনী। না হলে কাঁসাই জলাধার পার হয়ে দক্ষিণ বাঁকুড়ার বারো মাইল জঙ্গলে ঢুকে যেতে পারত সে।
গত রবিবার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাঘিনী জিনাত ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এলাকা থেকে ময়ূরঝর্ণা হয়ে বান্দোয়ানে ঢুকে পড়ে। তারপর থেকেই শুরু হয় বাঘবন্দি খেলা। কখনও সুন্দরবনের কৌশলে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা গ্রাম। আবার কখনও হাতি তাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করা হয়। শুক্রবার রাতে ট্র্যাঙ্কুলাইজার টিম জঙ্গে ঢোকে। তবে রাতে ঘুমপাড়ানি গুলিতে তাকে বাগে আনা মোটেও সম্ভব ছিল না। কিন্তু রাতে বাঘবন্দি অভিযানের মধ্যেই ডাঙরডি মোড়ের জাল ঘেরা জঙ্গল থেকে পালায় সে। একেবারে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। এরপর শনিবার সকালে ফের অবস্থান বদল করে বাঘিনী। বর্তমানে বাঁকুড়ায় রয়েছে সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.