সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: রাতারাতি বাড়ির উঠোন থেকে গায়েব ছয়টি ভেড়া! লালগড়ের পর এবার বাঘের আতঙ্ক ঝাড়গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। তাহলে কি সত্যি সত্যি বাঘ ঢুকে পড়েছে ঝাড়গ্রামে? নিশ্চিত নন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। এলাকায় খাঁচা পাতা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের দাহি গ্রামের আশেপাশে তেমন ঘন জঙ্গল নেই। এক কিলোমিটার দূরে ডুলুং নদী। দাহি গ্রামের বাসিন্দা সুবল মাহাতোর দাবি, বাড়ির উঠোনে ভেড়ার খামার করেছেন তিনি। শুক্রবার ভোরে দেখেন, খামারে ছয়টি ভেড়া নেই। বেলার দিকে বাড়ির কাছে চারটি ভেড়ার রক্তাক্ত দেহ পড়তে দেখা যায়। বাকিগুলির এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ নেই। ঘটনাটি জানাজানি হতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় বন্যজন্তুর বড় বড় পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। এত বড় পায়ের ছাপ আগে কখনও দেখেননি। তাঁদের অনুমান, গ্রামের আশেপাশে বাঘ বা অন্য কোনও হিংস্র জন্তু ঢুকে পড়েছে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে সাঁকরাইলের ডাহি গ্রামে খাঁচা পেতেছে বনদপ্তর। তবে বাঘ নয়, হায়না বা ওই জাতীয় কোনও জন্তুই লোকালয়ে ঢুকেছে বলে মনে করছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
এর আগে, লালগড় লাগোয়া জঙ্গলে বড় বড় পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। আশেপাশের গ্রামগুলিতে ছড়িয়েছিল বাঘের আতঙ্ক। এলাকায় রীতিমতো মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিল বনদপ্তর। খাঁচা পাতা হয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত বাঘ বা অন্যকোনও জন্তুরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে আবার দিন কয়েক আগে রাতে বাঘের গর্জন শুনেছেন বলে দাবি করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনার রামগড় গ্রামের বাসিন্দারা। এমনকী, সকালে ধান জমিতে বাঘের ছাপও দেখতে পান গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পায়ের ছাপগুলি পরীক্ষা করে দেখেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। গ্রামে রাত পাহারারও ব্যবস্থা করা হয়।
ছবি: প্রতিম মৈত্র
[আরও পড়ুন: প্রতিবেশীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিলেন বধূ, থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ মহিলার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.