Advertisement
Advertisement

আজ বর্ষবরণের উৎসবে শহর জুড়ে জারি কড়া সতর্কতা

তবে শহরের সবচেয়ে বড় ‘ইয়ার এন্ড ব্যাশ’ হচ্ছে নিউটাউনের ইকোপার্কে৷

tiet security in kolkata on new year's eve
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 31, 2016 9:27 am
  • Updated:December 31, 2016 9:29 am  

স্টাফ রিপোর্টার: বছরের শেষ প্রহরের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ ও শহরতলির কমিশনারেটগুলি৷ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতির বহরও বেড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায়৷ বর্ষশেষের বিকেল থেকে উর্দি ও সাদা পোশাকে রাজ্যের ছোটবড় সব শহরের রাস্তাতেই বাড়তি পুলিশ নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ শুধু বেলেল্লাপনা নয়, অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷

কলকাতা পুলিশের এক কর্তার কথায়, বর্ষশেষের উৎসব এখন শুধু পার্ক স্ট্রিটে সীমাবদ্ধ নেই৷ বহুতলের বেসমেন্ট থেকে রুফটপ, রেভ পার্টিতে মজেছে শহর৷ তাই শহরের নিরাপত্তায় যেমন বাড়তি পুলিশ রাস্তায় নামানো হচ্ছে তেমন থানাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে৷ পার্ক স্ট্রিটের পাশাপশি এবার পুলিশের নজরে থাকছে শহরের আরও বেশ কয়েকটি এলাকা যার মধ্যে রয়েছে ট্যাংরা, যাদবপুর, গড়িয়াহাট, দেশপ্রিয়পার্ক, মানিকতলা, কাঁকুড়গাছির মতো এলাকা৷ পাশাপাশি এবার বর্ষবরণের রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর উপরেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে৷ শহরের সব উড়ালপুলে ওঠা ও নামার মুখে ব্যারিকেড করার পাশাপাশি বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে৷ শহরের রাস্তায় প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ির স্পিডোমিটার বেশি উঠলেই সেই গাড়িকে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে৷

Advertisement

কলকাতার পাশাপাশি সেক্টরফাইভ, রাজারহাট-নিউটাউন, ভিআইপি রোড, যশোর রোড, বিটি রোডের দু’ধারের পানশালা, নৈশক্লাবেও বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করেছে বিধাননগর ও বারাকপুর কমিশনারেট৷ প্রত্যেক নৈশক্লাব ও পানশালাগুলিকে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি চালু রাখার পাশাপাশি বাড়তি বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে৷ কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে রিসর্ট ও বিনোদন ক্লাবের নিরাপত্তা নিয়ে৷ কারণ এই সব রিসর্ট ও ক্লাবে যে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি ভিড় জমাবে নতুন প্রজন্ম৷ বর্ষশেষের উদ্দামতা যাতে কোনওভাবে লাগামছাড়া না হয় তার জন্য রিসর্ট ও ক্লাবগুলিকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে৷

কলকাতা ছাড়া দুর্গাপুর, আসানসোল, থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতেও বর্ষশেষের অনুষ্ঠান হবে৷ সেখানেও নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে৷ দিঘা, মন্দারমনি, বকখালি, সুন্দরবনের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে৷ লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, গোটা শহরকেই গুরুত্বর নিরিখে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে৷ পুলিশের টহলের পাশাপাশি ট্রাফিক বিভাগকেও সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার৷ মদ্যপ যুবক-যুবতীদের উচ্ছৃঙ্খলা রুখতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ অনান্যবারের মতো এবারও সিটি ওয়াচ বাইক, আরটিআর, আরএফএস, এইচআরএফএস, ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি সব ব্যবস্থাই থাকছে৷ পাশাপাশি দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে যে কোনও ঘটনা এড়ানোর জন্য৷

এদিকে শনিবার সাদা পোশাকে দিনভর মেট্রোয় নজরদারি চালাবে রেলপুলিশ৷ ইভটিজিং রোখা থেকে শুরু করে কোনও বেলেল্লাপনা দেখলেই সোজা শ্রীঘরে৷ সাদা পোশাকে ঘুরবেন মহিলা রেলপুলিশও৷ স্নিফার ডগ দিয়ে প্রতি প্ল্যাটফর্মে চলবে নজরদারি৷ তাছাড়াও মেট্রোভবনের কন্ট্রোলরুম থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে প্রতি স্টেশনের সবসময়ের ছবি দেখা হবে৷ মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য শনিবারের তুলনায় ৫০টি অতিরিক্ত ট্রিপ চালানো হবে আজ৷ অন্যান্য দিন দমদম এবং কবি সুভাষ স্টেশন থেকে শেষ মেট্রো ছাড়ে রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে৷ সেই সময় বাড়িয়ে রাত ১২টা ১৫ করা হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement