Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঝড়বৃষ্টি

জামাইষষ্ঠীর সকালে মুখভার আকাশের, কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্যে ধেয়ে আসছে ঝড়বৃষ্টি

আমফানের ক্ষতের মাঝে আবারও রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টি।

Thunderstorm may hit in West Bengal next 2-3 hours
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 28, 2020 9:00 am
  • Updated:May 28, 2020 12:26 pm  

নব্যেন্দু হাজরা: আমফানের ক্ষত শুকনোর আগেই বুধবার প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ভেজে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। বৃহস্পতিবারও উন্নতি হয়নি আবহাওয়ার। সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। মাঝেমধ্যেই চলছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। দিনভর এমন আবহাওয়া জারি থাকবে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি চলবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে হাওয়া। মূলত কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেই চলবে ঝড়বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার দিনভর আবহাওয়ার উন্নতি সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।

Advertisement

বুধবার সকালে যদিও আবহাওয়া ছিল একেবারেই অন্যরকম। দেখা মিলেছিল রোদের। তবে সঙ্গে ছিল হাওয়ার দাপট। বিকেল থেকে ঝড়বৃষ্টি যে হবে, তা আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সেই পূর্বাভাসকেই সত্যি করে সন্ধে ৬টা থেকে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ৮৬ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তরবঙ্গের অবস্থাও প্রায় একইরকম। ঝড়বৃষ্টির ফলে শ্যামবাজার, যাদবপুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। দুর্গাপুরে বজ্রাঘাতে প্রাণহানিও হয় একজনের।বনগাঁ ও বসিরহাটে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরুলিয়া। জাতীয় সড়কের রেনি রোড এলাকায় একটি ট্রান্সফর্মারই ভেঙে পড়েl পুরুলিয়া-রঘুনাথপুর রাজ্য সড়কে গোশালা মোড়ের কাছে চলন্ত লরির উপর গাছ পড়ে জখম হন চালক ও খালাসি।

[আরও পড়ুন: আমফানের তাণ্ডবে মৃতদের পরিবারকে সাহায্য, আড়াই লক্ষ টাকার চেক দিল রাজ্য প্রশাসন]

২০ মে রাজ্যে আছড়ে পড়ে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ১৩৩ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে থাকে কলকাতায়। তার ফলে ভেঙে পড়ে প্রচুর গাছ। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয় বহু জায়গায়। এখনও সেই ক্ষত টাটকা। বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা। জলের পরিষেবাও স্বাভাবিক নয়। তারই মাঝে আবারও ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে নাজেহাল কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গার বাসিন্দারা।

[আরও পড়ুন: আমফানের পর দেখা নেই নেতা-মন্ত্রীর, সেই ‘বুড়ো’ কান্তিই ভরসা রায়দিঘির মানুষের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement