চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে নাজেহাল রোগীরা, সেখানেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ বুধবারের মতই বৃহস্পতিবারও স্বাভাবিক চিকিৎসা পরিষেবা মিলেছে এই হাসপাতালে৷ এমনকী রোগীদের বিশাল লাইন সামাল দিতে হাসপাতালের বাইরে গাছতলায় বসেও রোগী দেখলেন এক চিকিৎসক৷
নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাটা শুরু হয় বেলা দশটা থেকে৷ সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হয় চিকিৎসা৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার জেলা হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ ও শল্য চিকিৎসক ডাঃ নির্ঝর মাজি সকাল ৯টা নাগাদ পৌঁছান হাসপাতালে৷ হাসপাতালের চেম্বার না খুললেও, রোগীদের লাইন দেখে পার্কিং-এর কাছে গাছতলায় বসে পড়েন তিনি৷ মূহূর্তের মধ্যে সেখানেই ভিড় জমান রোগীরা৷ গাছতলায় বসেই তিনি শুরু করেন রোগীদের পরীক্ষা করা। এরপর বেলা বারোটায় চেম্বারে বসেন তিনি৷ নির্ঝর মাজি জানান, “বুধবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ছিল৷ ফলে সবাইকে সময়মতো দেখা যায়নি৷ চাপ কমাতে তাই আজ সকাল সকাল চলে এসেছি।”
চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় সুনাম রয়েছে নির্ঝর মাজির৷ তিনিই প্রথম চিকিৎসক, যিনি সরকারি হাসপাতালে হাঁটু প্রতিস্থাপন, হিপ প্রতিস্থাপনের পর জটিল অস্ত্রপচারে সফলতা পেয়েছেন৷ তবে শুধু বৃহস্পতিবার নয়, এভাবে এর আগেও নির্দিষ্ট সময়ের আগে গাছতলায় বসে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন তিনি৷
অন্যদিকে, বুধবারের কর্মবিরতি শেষে মানবিকতার খাতিরেই পরিষেবা দিতে এগিয়ে আসেন আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও৷ তবে এনআরএস ঘটনার প্রতিবাদে এদিনও বুকে কালো ব্যাজ পরেছিলেন চিকিৎসকরা৷ মানুষকে পরিষেবা দিতে দায়বদ্ধ থাকলেও তাঁদের কাছে নিরাপত্তার প্রশ্নটিও গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ছেড়ে কাজে যোগ দেওয়ায় হাসপাতালের পরিস্থিতি যেমন স্বাভাবিক হয়েছে,তেমনই রোগী ও রোগীর পরিবারও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.