সোমনাথ পাল, বনগাঁ: রক্ষকই হয়ে উঠল ভক্ষক, আইন রক্ষা করা যার কাজ নিজের হাতে আইনকে তুলে নিল সেই৷ সম্পত্তিগত ঝামেলার জেরে নিজের দাদা, নিমাই দাসকে খুন করল তিন ভাই বাবলু দাস, গোবিন্দ দাস ও গোপাল দাস৷ যাদের মধ্যে একজন আবার সিভিক ভলান্টিয়ার৷ ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ৷ খোঁজ চলছে আরও এক অভিযুক্তের৷ বুধবার তাদের পেশ করা হতে পারে আদালতে৷
[শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে গৃহবধূর আত্মহত্যা, ধৃত স্বামী ও শাশুড়ি]
ঘটনাটি ঘটে, গাইঘাটা থানার অন্তর্গত ভাদুরিয়া গ্রামে৷ জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দাদা নিমাই দাসের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল বাকি তিন ভাইয়ের৷ সোমবার রাতে যা চরমে পৌঁছায়৷ প্রথমে তর্কবিতর্ক দিয়ে শুরু হলেও পরে তা পরিণত হয় হাতাহাতিতে৷ উত্তেজনার মধ্যে দাদার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাকি তিন ভাই৷ চলে এলোপাথাড়ি মারধর৷ শেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয় নিমাই দাসের মাথায় এবং ওখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি৷ মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে তাঁর স্বামীকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তারপর অবস্থা আরও খারাপ হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে৷ কিন্তু মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷
[মুর্শিদাবাদে কী করে মাদক পাচার করে চিনারা? পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী]
ঘটনার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃতের স্ত্রী৷ অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁর তিন দেওরের বিরুদ্ধে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হয় দুই ভাই বাবলু দাস ও গোপাল দাস৷ অভিযুক্তদের মধ্যে গোপাল দাস গাইঘাটা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার৷ তবে এখনও পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত এক ভাই গোবিন্দ দাস৷ তার খোঁজে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.