দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মাছের ভেড়িতে স্নান করতে নেমে ডুবে মৃত্যু হল তিনজনের। আহত হয়েছেন তিনজন। সূত্রের খবর, ভেড়িতে নেমে মাঝখান অবধি পৌঁছে আর পাড়ে ফিরে আসতে পারেনি ৩ কিশোর। জলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃতদের নাম রনক দাস (১৭), শুভজিৎ (১৯), শান রায় (১৪)। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জগদিপোতায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রুবি হাসপাতাল লাগোয়া খেয়াদহের জগদিপোতা অঞ্চলে অনেকগুলি মাছের ভেড়ি আছে। গ্রীষ্মকালে এলাকার বাসিন্দা ও আশপাশের এলাকা থেকেও প্রচুর মানুষ ভেড়ির জলে স্নান করতে আসেন। এদিন সকালে রনক, শান, শুভজিতের সঙ্গে জগদিপোতার ওই ভেড়িতে স্নান করতে নেমেছিল সুরজিৎ রায় (১৯), চরণ ঢালি (১৪) ও বিশাল মিস্ত্রি (১৬)। সকাল এগারোটা নাগাদ ছয় কিশোর ভেড়ির জলে স্নান করতে নামে। সেসময় আশপাশে কেউ ছিল না। প্রায় এক ঘণ্টা পর তিন কিশোর জল থেকে উঠে এলেও অন্য তিনজন ডাঙায় উঠতে পারেনি। জলাশয়ের পাড়ে বসেই তিন কিশোর কান্নাকাটি শুরু করে। ঘটনার কথা জানতে পেরে গ্রামবাসীরা দ্রুত উদ্ধার কাজে নামেন। নামানো হয় নৌকা, জাল টানার ব্যবস্থাও করা হয়। একই সঙ্গে খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। নরেন্দ্রপুর থানা কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে যান নরেন্দ্রপুর থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। দেহগুলি দ্রুত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক আশিস পাল বলেন, “তিন কিশোরের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক।” মৃত কিশোরেরা সবাই সাঁতার জানত কি না কিংবা মদ্যপ অবস্থায় জলে নেমেছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আহত ৩ কিশোরও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেই নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। বারুইপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানিয়েছেন, “সাঁতার না জানার ফলেই ওঁদের মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পেলে বলা যাবে না। ”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.