Advertisement
Advertisement
মৃত

ভেড়িতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল তিন যুবক, চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুরে

অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি আরও ৩।

Three student drowned in a pond under Narendrapur P.S area.
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 27, 2019 8:44 am
  • Updated:April 27, 2019 8:44 am  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মাছের ভেড়িতে স্নান করতে নেমে ডুবে মৃত্যু হল তিনজনের। আহত হয়েছেন তিনজন। সূত্রের খবর, ভেড়িতে নেমে মাঝখান অবধি পৌঁছে আর পাড়ে ফিরে আসতে পারেনি ৩ কিশোর। জলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃতদের নাম রনক দাস (১৭), শুভজিৎ (১৯), শান রায় (১৪)। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জগদিপোতায়।

[আরও পড়ুন: বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ, কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল]

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রুবি হাসপাতাল লাগোয়া খেয়াদহের জগদিপোতা অঞ্চলে অনেকগুলি মাছের ভেড়ি আছে। গ্রীষ্মকালে এলাকার বাসিন্দা ও আশপাশের এলাকা থেকেও প্রচুর মানুষ ভেড়ির জলে স্নান করতে আসেন। এদিন সকালে রনক, শান, শুভজিতের সঙ্গে জগদিপোতার ওই ভেড়িতে স্নান করতে নেমেছিল সুরজিৎ রায় (১৯), চরণ ঢালি (১৪) ও বিশাল মিস্ত্রি (১৬)। সকাল এগারোটা নাগাদ ছয় কিশোর ভেড়ির জলে স্নান করতে নামে। সেসময় আশপাশে কেউ ছিল না। প্রায় এক ঘণ্টা পর তিন কিশোর জল থেকে উঠে এলেও অন্য তিনজন ডাঙায় উঠতে পারেনি। জলাশয়ের পাড়ে বসেই তিন কিশোর কান্নাকাটি শুরু করে। ঘটনার কথা জানতে পেরে গ্রামবাসীরা দ্রুত উদ্ধার কাজে নামেন। নামানো হয় নৌকা, জাল টানার ব্যবস্থাও করা হয়। একই সঙ্গে খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। নরেন্দ্রপুর থানা কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে যান নরেন্দ্রপুর থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। দেহগুলি দ্রুত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মোদির মুখে ঝামা ঘষে বিজেপি শাসনের অবসান ঘটাবেন মমতা’, হুঁশিয়ারি অভিষেকের]

এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক আশিস পাল বলেন, “তিন কিশোরের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক।” মৃত কিশোরেরা সবাই সাঁতার জানত কি না কিংবা মদ্যপ অবস্থায় জলে নেমেছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আহত ৩ কিশোরও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেই নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। বারুইপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানিয়েছেন, “সাঁতার না জানার ফলেই ওঁদের মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পেলে বলা যাবে না। ”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement